মেসিদের বিদায়, ডাচদের হারাতে মরিয়া টটেনহ্যাম

দিভক ওহিগি ম্যাচের শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। বিরতির পরে ১২২ সেকেন্ডে দু’গোল হজম করতে হয় বার্সাকে। নেপথ্যে জর্জিনিয়ো ওয়েনালের জোড়া গোল। সেই ঝড়ে বেসামাল হয়ে যায় লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০৪:৩২
Share:

গোল করে উচ্ছাস দিভক ওহিগির (ডান দিকে)। ছবি এপি।

লিভারপুল ৪ • বার্সেলোনা ০

Advertisement

(দুই পর্ব মিলিয়ে ৪-৩)

এমনটা যে হবে অতিবড় লিভারপুল সমর্থকও হয়তো ভাবেননি! মহম্মদ সালাহ, রবের্তো ফিরমিনহো না থাকলেও প্রথম পর্বে ৩-০ এগিয়ে থাকা বার্সেলোনাকে ঘরের মাঠে ৪-০ উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চলে গেল লিভারপুল।

Advertisement

দিভক ওহিগি ম্যাচের শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। বিরতির পরে ১২২ সেকেন্ডে দু’গোল হজম করতে হয় বার্সাকে। নেপথ্যে জর্জিনিয়ো ওয়েনালের জোড়া গোল। সেই ঝড়ে বেসামাল হয়ে যায় লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনা। শেষটাও করেন ওহিগিই। ৭৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্প্যানিশ ক্লাবের বিরুদ্ধে অ্যানফিল্ডে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন তিনি।

এ দিকে, জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেললে টটেনহ্যামই পারে ইয়েরিক তেন হেগের ‘তরুণ ব্রিগেড’ আয়াখ‌্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে। এমনটাই মত ব্রিটিশ ক্লাবের আর্জেন্তিনীয় ম্যানেজার মাউরিসিয়ো পচেতিনোর। সেটা পারলে ইতিহাস গড়বে স্পার্স। কারণ এর আগে কখনও তারা ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেনি।

প্রথম লেগে আয়াখ‌্-এর কাছে ০-১ হেরে থাকা। বুধবার রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি ম্যাচ খেলতে হওয়া আমস্টারডামে। প্রিমিয়ার লিগে শেষ ক’টি ম্যাচে দারুণ কিছু খেলতে না পারা। এবং তিন থেকে চারে নেমে যাওয়া। হ্যারি কেন চোটের জন্য ছিটকে গেলেও বুধবার অবশ্য দলে ফিরছেন সন হিউং মিন। কিন্তু আয়খ‌্স-এর তরুণেরা এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে। ডাচ লিগ টেবলে শীর্ষে। ডাচ কাপেও এগিয়ে যাচ্ছে আয়াখ‌্স। তার উপর তেন হেগের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাসকে হারিয়ে। বলতে গেলে ডাচ দলের সঙ্গে পেরে উঠছে না ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোও। সেই সঙ্গে আয়াখ‌্স-এর ইতিহাস দুর্দান্ত। জোহান ক্রুয়েফের ক্লাব চার বার জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে বেশিটাই এই ডাচ মহাতারকার সেরা সময়ে। কিন্তু এ বার যে খেলাটা আয়াখ‌্স খেলছে তাতে আশাবাদী ফুটবল মহল। ক্রুয়েফের পরে তাদের সেরা ফল করাটা নাকি এখন নিছক সময়ের অপেক্ষা। আর পেপ গুয়ার্দিওলার অন্ধভক্ত তেন হেগ তো এখনই আমস্টারডামে অসম্ভব জনপ্রিয়। বলা হচ্ছে, ফাইনালে উঠলে ক্রুয়েফের মতো তাঁর নামও ইতিহাসে লেখা থাকবে। এমন অবস্থায় টটেনহ্যামের পক্ষে চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া কতটা সম্ভব?

প্রবল আশাবাদী পচেতিনো কিন্তু বলছেন, ‘‘অবশ্যই সম্ভব। জয়ের মানসিকতা থাকলে আমরা ফাইনালে খেলতে পারি। আসল ব্যাপার সাহস। আগের ম্যাচে কী হয়েছে মনে রাখলে চলবে না। সাহসটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন