বিরাট কোহালি। ছবি: রয়টার্স।
টসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ড্র করেই থামতে হয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্ট জস জেতার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচও জিতে নিয়েছিলেন কোহালিরা। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে মোহালিতে আবারও টসে হার। তবে এ বার আর ম্যাচ হারতে হয়নি। বরং বাড়তি উদ্যমে ম্যাচ জয়ের পথেই হেঁটেছে ভারত। ভাল উইকেটে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ হারিয়ে যেন আরও মুখিয়ে উঠেছিল ভারতীয় দল। যার ফল ইংল্যান্ডকে চতুর্থ দিনেই হারের মুখ দেখিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ জিতে বিরাট বলেন, ‘‘আমরা খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছি। আমরা ক্রমশ আত্মবিশ্বাসী হচ্ছি। আমরা টস হেরেছিলাম কিন্তু ওদের ২৮০তেই শেষ করে দেই। ইংল্যান্ড টস জেতার পর যে উচ্ছ্বাস দেখেছিলাম তাতে খুব অবাক হয়েছিলাম। তখনও মাঠে নেমে খেলা বাকি ছিল। আর ওটাই আমাদের তাগিদটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।’’
এর পাশাপাশি দলের স্পিনারদের প্রশংসাও শোনা গেল অধিনায়কের গলায়। দলের তিন স্পিনার ব্যাট হাতেও যে দারুণ সফল। সেটাও মেনে নিলেন তিনি। বলেন, ‘‘লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে অবদানে আমি গর্বিত। যেটা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেছে। অশ্বিন চ্যাম্পিয়ন, সেরা অল-রাউন্ডার, জাদেজা সেরা ১০এ রয়েছে, আর জয়ন্ত ওর প্রথম টেস্টেই সেই অভিজ্ঞতাটা দেখিয়েছে। ও ওর প্রয়োজন মতো ফিল্ড সাজানোর কথা আমাকে বলেছে।’’
শুধু স্পিনাররাই নয় দলের ফার্স্ট বোলাররাও তৃতীয় টেস্টে সফল। বিরাটের গলায় শামি, উমেশেরও প্রশংসা শোনা গেল। ‘‘চোট সারিয়ে ফিরে শামি যেন আরও ফিট আর শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। সবাই যে ভাবে খেলেছে তাতে আমি দারুণ খুশি। হতাশ ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক অবশ্য নিজের দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদেরই দুষেছেন। বলেন, ‘‘টস জিতেছিলাম সেটা খুব ভাল দিক ছিল কিন্তু আমরা ২৮০তেই আউট হয়ে গেলাম। এখান থেকে ম্যাচ জেতা যায় না। এই পিচে জিততে হলে ৪০০র ওপর রান করতে হয়। আমার মনে আছে শেষবার ওদের হারিয়েছিলাম ওদের ৩০০তে আউট করে দিয়ে।’’
ম্যাচের সেরা হয়ে জাডেজা বলেন, ‘‘আমি নিজের খেলা নিয়ে খুব খুশি। বিশেষ করে ব্যাটিং নিয়ে। আমি জানতাম ৪০-৫০ বল টিকে গেলেই আমি বড় ইনিংস খেলতে পারব। অফ স্পিনারদের বিরুদ্ধে কোনও ঝুঁকি নেইনি। ঝুঁকি নিতে শুরু করি লেগস্পিনারদের বলে। পরের বার যখন ৯০এর ঘরে পৌঁছব তখন আর একটু সাবধান হব।’’
আরও খবর
ব্যাটে-বলে বাজিমাত করে টেস্ট সিরিজে ২-০তে এগোল ভারত