দলের বোলারদের যেমন হারের জন্য দায়ী করলেন, তেমন তাঁদের আড়াল করারও চেষ্টা করলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
শুক্রবার ধর্মশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পর ধোনি বললেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলোতে আমরা প্রচুর রান দিয়ে দিয়েছি ওদের। এক-একটা ওভারে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা কুড়ি রান করে তুলে দিলে তো চাপে পড়তেই হবে। সেটাই হয়েছে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে কুড়ি ওভারে দুশোর টার্গেট দেওয়ার পরেও কেন সেই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারলেন না, কেন সুরেশ রায়নাকে বল করানো হল না— এ দিনের হারের পর সেই সব প্রশ্নও উঠে গেল। যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ধোনি বললেন, ‘‘রায়নাকে দিয়ে বোলিং করানো যেত হয়তো। কিন্তু এখানকার কন্ডিশন দেখে ওকে দিয়ে বল করালাম না। প্রথমত শিশিরের সমস্যা। তার উপর উচ্চতা। বেশ কঠিন অবস্থা ছিল এখানে। আর দুমিনি এত ভাল খেলছিল! ওকে যদি শুরুতেই আউট করে দিতে পারতাম, ভাল হত। ফারহানের সঙ্গে ওর পার্টনারশিপটাও আমাদের সমস্যায় ফেলেছে।’’
অক্ষর পটেলের একটা ওভারে ২২ রান তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। সেই ওভারেই দুমিনিরা লক্ষ্যের অনেক কাছে পৌঁছে যান। এই প্রসঙ্গে ধোনির মন্তব্য, ‘‘অক্ষর তো ভালই বল করে। সে ডান হাতিকে হোক কিংবা বাঁ-হাতিকে। এ রকম উইকেট, আউটফিল্ডে ঠিকঠাক মানানসই বল করাটাই আসল কথা। পরের ম্যাচগুলোতে ব্যাটসম্যানদের আরও ফলস শট খেলতে বাধ্য করতে হবে অবশ্য। যাতে তারা আউট হয়।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক জেপি দুমিনি বলেছেন, ‘‘আমার অন্যতম সেরা ইনিংস অবশ্যই। যে ভাবে ইনিংসটা শুরু করতে চেয়েছিলাম, সেই ভাবেই করেছি। ফাজের (ফারহান বেহারদিন) সঙ্গে পার্টনারশিপটাও কাজে লেগে গেল। জানতাম শেষ ওভারে যদি ১০-১১ রানের টার্গেট থাকে, তা হলে জেতা সহজ হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করে গিয়েছি। ভারতের বাঁ-হাতি বোলাররা সেই সুযোগটাও করে দিয়েছে আমাদের। সিরিজের শুরুটা ভাল হয়েছে। এখন এটা ধরে রাখতে হবে আমাদের।’’
যাঁর সঙ্গে ১০৫ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে জেতান দুমিনি, সেই বেহারদিন বলেছেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই ঠিক করেছিলাম ধোনির কৌশল অবলম্বন করেই ওকে হারাব। জেপি-র ব্যাটিংই তা করতে সাহায্য করল আমাদের। মাইকেল হাসির আমাদের সঙ্গে থাকাটাও কাজে লাগল। ব্যাট করতে নামার আগে জেপি-র সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। ও আমাকে বলে, স বসময় ব্যস্ত থাকার চেষ্টা কোরো। যথা সম্ভব রান নিয়ে ফিল্ডারদের চাপে রাখার চেষ্টা করছিলাম। মাঝের ওভারগুলোয় এই কৌশলই শেষ পর্যন্ত কাজে এল। জেপি ওর ক্লাস আরও একবার প্রমাণ করল এখানে। আশা করি সারা সফরেই জেপি যেন এই ফর্ম ধরে রাখতে পারে।’’