উৎসব: ঘরের মাঠে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর পরে ব্রিস্টল সিটির কোচ-ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড অন্দরমহলে ফের ঢুকে পড়ল অশান্তির হাওয়া। বুধবার রাতে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রিস্টল সিটি-র বিরুদ্ধে হারের পর ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জোসে মোরিনহো।
ইংল্যান্ড ফুটবল লিগে দ্বিতীয় স্তর (টিয়ান টু)-এর দল ব্রিস্টল সিটি-র বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে পল পোগবা, জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ, মার্কাস র্যাশফোর্ডের মতো একঝাঁক তারকাকে রেখেছিলেন মোরিনহো। তা সত্ত্বেও ৫১ মিনিটে জো ব্রায়ানের গোলে এগিয়ে যায় ব্রিস্টল। সাত মিনিটের মধ্যেই অবশ্য সমতা ফেরান ইব্রাহিমোভিচ। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে নাটকীয় ভাবে ছবিটা বদলে দেন কোরি স্মিথ।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ মোরিনহো বলেছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমাদের খেলায় কোনও তীব্রতাই ছিল না। এই অভাবটা খেলাতেই নয়, ফুটবলারদের মানসিকতার মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। বরং ব্রিস্টল সিটি-র ফুটবলাররা অনেক বেশি উজ্জীবিত ছিল। তবে প্রথমার্ধে ওরা একটু ভাগ্যর সাহায্যও পেয়েছিল।’’ ক্ষুব্ধ মোরিনহো যোগ করেছেন, ‘‘মনে হচ্ছিল, আমরা কয়েক জন অফিসে এসেছি। বাকিরা যেন ইচ্ছের বিরুদ্ধে এসেছে।’’
ম্যাচের পর ব্রিস্টল সিটি-র ড্রেসিংরুমে গিয়ে বিপক্ষের কোচ ও ফুটবলারদের অভিনন্দন জানান মোরিনহো। তিনি বলেছেন, ‘‘ব্রিস্টল সিটি-র ফুটবলারদের কাছে এটা স্মরণীয় রাত। ওদের অভিনন্দন।’’ মোরিনহো অবশ্য দাবি করেছেন, ম্যান ইউনাইটেড আদৌ হারার মতো খেলেনি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কিন্তু হারার মতো খেলেনি। কেউ প্রত্যাশাই করতে পারেনি, ওরা গোল করবে। আমাদের দু’টো শট ওদের গোলপোস্টে লেগেছিল। আর শেষ গোলটার পরে আর ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সময় ছিল না।’’ ব্রিস্টল সিটি-র বিরুদ্ধে হারের যন্ত্রণার মধ্যেই মোরিনহোকে স্বস্তি দিল ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন (এফএ)। ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বির আগে সাংবাদিক বৈঠকে মোরিনহো অভিযোগ করেছিলেন, পেপ গুয়ার্দিওলার দলের ফুটবলারদের পেনাল্টি আদায়ের প্রবণতা রয়েছে। এর জন্য ম্যান ইউনাইটেড ম্যানেজারের ব্যাখ্যা চায় এফএ। বৃহস্পতিবার এফএ-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার পরেই মোরিনহোর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’