চেন্নাইয়ের বর্ষায় বাংলার বিপক্ষ জম্মু ও কাশ্মীর। এমনই বাতাবরণে বৃহস্পতিবার ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুমে অভিযান শুরু হচ্ছে মনোজ তিওয়ারিদের।
বোর্ডের নতুন নিয়মে এ বার রঞ্জি ট্রফির আগেই জাতীয় ওয়ান ডে বিজয় হজারে ট্রফি শেষ করে ফেলা হবে। যে প্রতিযোগিতার শুরুতেই ইরফান পাঠানের জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নামছেন মনোজ তিওয়ারিরা। হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে খেলতে দেখা যাবে এই ভারতীয় বাঁ হাতি পেসারকে। খেলার পাশাপাশি পরভেজ রসুলদের মেন্টরের দায়িত্বেও রয়েছেন পাঠান।
যে রকম সূচি, তাতে বাংলাকে ২১ দিনে ন’টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে হবে। যার প্রথমটি তারা খেলতে নামছে চেন্নাইয়ের এসএসএন কলেজ গ্রাউন্ডে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া চেন্নাইয়ে। তাই উইকেটেরও সে রকমই অবস্থা। এ রকম উইকেটে পাঠানের বোলিংয়ের মোকাবিলা করাটা খুব একটা সহজ নাও হতে পারে মনোজদের পক্ষে। কোচ সাইরাজ বাহুতুলে জানালেন, ‘‘উইকেট এখনও দেখতে পাইনি। আমরা যেখানে আছি, সেখান থেকে মাঠ অনেক দূরে। তা ছাড়া বৃষ্টির জন্য পুরো মাঠই ঢাকা। ম্যাচের আগে উইকেট দেখেই প্রথম এগারো ঠিক করব।’’
প্রথম ম্যাচের চার দিন আগেই এখানে চলে এসেছে বাংলা দল। ভিভিএস লক্ষ্মণ, টি এ শেখরের নেতৃত্বে অনুশীলনও হয়েছে তাদের। যা নিয়ে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলছেন, ‘‘লক্ষ্মণভাই ও শেখরস্যারের সঙ্গে আমরা খুব ভাল অনুশীলন করেছি। ফলে আমরা মাঠে নামার জন্য তৈরি।’’ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় টসটা যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তা স্বীকার করে নিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘হ্যাঁ, টসটা গুরুত্বপূর্ণ এই আবহাওয়ায়। তবে কোনও দল অসাধারণ খেলতে শুরু করলে আর টস তেমন গুরুত্বপূর্ণ থাকে না।’’
গত বার বিজয় হজারে ট্রফিতে গ্রুপশীর্ষে থেকে শেষ করেছিল বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে মহারাষ্ট্রকে ও সেমিফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে হারানোর পরে ফাইনালে তামিলনাড়ুর কাছে ৩৭ রানে হারে বাংলা। অন্য দিকে, পারভেজ রসুলরা গত বার তাদের গ্রুপে একেবারে শেষ জায়গায় ছিলেন ছ’টির মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জিতে। এ বার সেই জায়গা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে উন্নত করে তোলার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী পাঠান। এক ওয়েবসাইটকে বলেছেন, ‘‘অতীতের সব কথা ভুলে নতুন করে দলটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমার কাছে এটা চ্যালেঞ্জ। পরভেজ রসুল এমন একজন অধিনায়ক, যার ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যথেষ্ট। আমার মনে হচ্ছে এই দল নিয়ে এগোনো যাবে।’’ যার শুরুটা বাংলাকে দিয়েই করতে চান তিনি।