কেরলের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মনোজরা। —ফাইল চিত্র।
কেরলের বন্যা-বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। কেরলের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন বাংলার উইকেটকিপার শ্রীবৎস গোস্বামী। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে তিনি একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ঠিকানা পাঠান। সেখানেই নিজেদের সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করেন বাংলার ক্রিকেটারেরা।
দলের ক্রিকেটারদের এই উদ্যোগে আপ্লুত অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। মঙ্গলবার সিএবি-তে দলগঠনের বৈঠকে এসে মনোজ বলেন, ‘‘দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই কেরলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী দান করেছে প্রত্যেকে। আমিও ঘটনার তিন দিনের মধ্যেই তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার চেষ্টা করেছি।’’
কেরলের বন্যা-বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে কেরল ক্রিকেট সংস্থা থেকেও। শোনা গিয়েছে, ভারতের প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্থাকেই চিঠি পাঠিয়ে সাহায্যের অনুরোধ করেছে কেসিএ। কেরলের এই অনুরোধ রাখার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তাও শুরু করেছে সিএবি। মঙ্গলবার সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা দেখছি কী করা যায়।’’ যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়ার ব্যাখ্যা, ‘‘কেসিএ থেকে আমাদের কাছে এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। এখনও কোনও পোক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ভাবনা চিন্তা চলছে।’’
২৪ অগস্ট নাগপুরে প্রাক-মরসুম শিবির শুরু হচ্ছে বাংলার। তার আগে মঙ্গলবার ১৯ জনের দল ঘোষণা করল সিএবি। প্রথম সাত দিন আবাসিক শিবিরের পরে একটি আমন্ত্রণী প্রতিযোগিতায় খেলবেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। সিএবি সূত্রে খবর, শিবিরের প্রথম কয়েক দিন দলের ব্যাটসম্যানদের প্রশিক্ষণ দিতে উপস্থিত থাকবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
প্রত্যেক বারের মতো এ বারও ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে মনোজের। বলছেন, ‘‘বিজয় হজারে ট্রফি দিয়ে মরসুম শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি রঞ্জি ট্রফি গ্রুপ পর্যায়েও গত বারের থেকে অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। তাই ফিটনেস ধরে রাখাই আসল। কারণ ফিট না থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়।’’