অলিম্পিক্সের ইতিহাসে সবথেকে বড় দল এ বার রিওতে পাঠাচ্ছে ভারত। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েলের সামনে আইওএ কর্তারা যা হিসেব দিয়েছেন, তাতে সব মিলিয়ে ১২২ জন অ্যাথলিট যাচ্ছেন।
কিন্তু কত পদক পেতে পারে ভারত? ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রাজীব মেহতার হিসাব, অন্তত পনেরোটি। আর শেফ দ্য মিশন রাকেশ গুপ্তর আশা, এক ডজন পদক পেতেই পারেন অভিনব বিন্দ্রারা। লন্ডনে শেষ অলিম্পিক্সে ভারত ছ’টি সোনা পেয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে রিও থেকে দ্বিগুণ পদক পাওয়া সম্ভব মনে করছেন কর্তারা।
ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিজয় অবশ্য এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি টেকনিক্যাল লোক নই। এখনও পুরো ব্যাপারটা জানি না। তবে আশা করব যাদের পাঠানো হচ্ছে তারা ভাল করবে।’’ তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ঠিক করেছেন, দিল্লিতে জায়ান্ট স্ক্রিনে নানা জায়গায় অলিম্পিক্সের বিভিন্ন ইভেন্ট দেখানোর ব্যবস্থা করবেন। ‘‘প্রতি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীদেরও অনুরোধ করব ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করতে,’’ বলেছেন বিজয়।
কোন কোন ইভেন্টে পদক পাওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল আইওএ সচিবকে। ‘‘ব্যাডমিন্টনে সাইনা নেহওয়াল, শ্যুটার জিতু রাই, টেনিসের রোহন বোপান্না-সাইনা ডাবলস জুটি, ছেলেদের হকি টিম, বক্সিংয়ের বিকাশ কৃষ্ণণ, কুস্তির যোগেশ্বর দত্ত এবং গলফ থেকে পদক আসবে।’’ তাঁর আশা, তিরন্দাজি এবং অ্যাথলেটিক্সেও পদক আসার সম্ভবনা রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যাথলিটরা চাইলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য রিওতে আগে যেতে পারবেন। সরকার সে ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করবে। মন্ত্রী বলার আগেই অবশ্য তিরন্দাজি ও একদল শ্যুটার চলে গিয়েছেন রিওতে। ছেলেদের হকি টিম অবশ্য গিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। শেফ দ্য মিশন জানিয়েছেন, ‘‘২৪ জুলাই থেকে গেমস ভিলেজ খুলছে। ধাপে ধাপে সেখানে ঢুকবেন অ্যাথলিটরা।’’