দেশের হয়ে অল্প কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন। তেমন ভাবে সফল না হওয়ায় ভারতীয় দল থেকে বাদও পড়ে গিয়েছেন, হারিয়ে গিয়েছেন নির্বাচকদের রেডার থেকে। কিন্তু, তাঁরা পরিচিত হয়ে রয়েছেন কিছু অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেটের এরকমই এক প্রতিভাকে।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। নাম অজয় রাত্রা।
১৯৯৮-১৯৯৯ মরসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডেবিউ হয়েছিল তাঁর। ৯৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪০২৯ রান করেছেন তিনি। গড় ৩০.২৯। এর মধ্যে রয়েছে আটটি শতক ও একটি দ্বি শতক। ৮৯টি ‘লিস্ট এ’ খেলে ১৩৮১ রান করেছেন তিনি, গড় ২২.৬৩
একদিনের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ডেবিউ হয়েছিল ২০০২ সালের জানুয়ারিতে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফকে রান আউট করেছিলেন অজয়। ইডেন গার্ডেন্সের সেই আউট কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই মনে রেখেছেন এখনও।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেণ্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণ, হরভজন সিংহ, জাভাগাল শ্রীনাথ, অনিল কুম্বলেদের সঙ্গেই মাঠে নেমেছিলেন অজয়। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিলও সচিনের জন্মদিনে টুইটারে বন্ধু অজয় শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।
২০০২ সালে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে ১১৫ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ড করেন তিনি। সব থেকে কম বয়সী ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে ১১৫ রানের ওই রেকর্ড করেন রাত্রা।
মাত্র ২০ বছর বয়সে খেলতে এসেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৬টি টেস্ট ম্যাচে। ১১টি ক্যাচ, ২টি স্ট্যাম্প ও ১৬৩ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
১২টি একদিনের ম্যাচে ১১টি ক্যাচ, ৫টি স্ট্যাম্প ও ৯০ রান রয়েছে তাঁর দখলে।
তবে প্রথম তিনটি টেস্টের তিনি তেমন ভাবে সফল না হওয়ার পরবর্তীতে পার্থিব পটেল দলে সুযোগ পেয়ে যান। এ ছাড়াও একদিনের দলের জন্য রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসাবে।
রাত্রা ছিলেন একেবারে ছিপছিপে পাতলা চেহারার একজন উইকেটকিপার। ‘অ্যালার্ট কিপার বান্টি’ বলা হত তাঁকে। নির্বাচকরা একটা সময় বিশ্বকাপের জন্যও ভেবেছিলেন অজয়কে। কিন্তু জাতীয় দলে আর সুযোগ পাননি তিনি।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাত্রা। ২০০৮ সালে ওই দল জিতেছিল বিশ্বকাপ।
হরিয়ানা রাজ্য দলেরও ক্যাপ্টেন ছিলেন অজয়। ২০১৩ সাল নাগাদ খেলেছেন ত্রিপুরার হয়েও।
গোয়ার হয়ে ২০০৯ সালে টি২০ ম্যাচ খেলেন অজয়। লিব্রা লেজেন্ডস ও ওএনজিসির দলেও নিয়মিত খেলেছেন অজয় রাত্রা।
বর্তমানে বিসিসিআইয়ের শিবিরে প্রশিক্ষণ দেন তিনি, কাজ করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসাবেও।
ক্রিকেটের সঙ্গে প্রযুক্তিকে মেলাতে পারলে দক্ষতা হবে আরও ধারালো, এমনটাই বলেন অজয়।
টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সক্রিয় তিনি। চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটারকেও তাঁর পরামর্শ নিতে দেখা গিয়েছে।
বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানকে সময় দেওয়াটাও খেলার মতোই জরুরি, এমনটাই বলেন রাত্রা। ছেলের পরীক্ষার সময় রাত জেগে পড়াশোনায় সাহায্য করেন।