কোনও কোনও পরিবারের সঙ্গে খেলার ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকে। পরিবারের প্রত্যেকেই বিভিন্ন খেলায় দেশ বা রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এমন নজির যদিও খুব একটা নেই। সে ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম মহারাষ্ট্রের এই পরিবার। এর মধ্যে জাতীয় দলের এক তারকাকে তো ঘরোয়া ক্রিকেটের লেজেন্ড বলা হয়।
কানিতকর পরিবারে রয়েছে এমন ঐতিহ্য। পরিবারের অন্যতম সদস্য হেমন্ত কানিতকর। ২১ বছর বয়সে তিনি সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১৫১ রান করেছিলেন। রঞ্জি ডেবিউতে মহারাষ্ট্রের হয়ে এর আগে একজনেরই এই রেকর্ড ছিল।
জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলেছেন হেমন্ত। ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯৭৪-১৯৭৫ সালে খেলেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানও করেন।
২০টি স্টাম্পিং ও ৭০টি ক্যাচ রয়েছে উইকেটকিপার হেমন্ত কানিতকারের দখলে।
হেমন্ত কানিতকরের ছেলে হৃষিকেশ কানিতকর। এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ৩৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। মোট ৩৩৯ রান করেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ১৭টি উইকেট। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং তো বটেই, অফ স্পিনটাও ভালই করতেন কানিতকর।
১৯৯৮ সাল। ঢাকায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা ছিল ভারতের। ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ ফাইনালে হৃষিকেশ কানিতকরের হাত ধরেই ভারত জয় পায়। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাকলিন মু্স্তাককে চার মেরে দেশকে জেতানো ইনিংস আজও সবাই মনে রেখেছেন।
প্রথমে মহারাষ্ট্র, পরে মধ্যপ্রদেশ, শেষে রাজস্থানের হয়ে খেলতেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় তাঁকে। ১৪৬টি ম্যাচে ১০ হাজার ৪০০ রান করেছেন তিনি। গড় ৫২-এর চেয়ে খানিকটা বেশি।
হেমন্ত কানিতকরের অপর সন্তান আদিত্য কানিতকর। তিনি এক সময়ে দেশের নামী গল্ফার ছিলেন।
পরবর্তীতে আদিত্য গল্ফ কোচ হিসাবে যথেষ্ট নাম করেছিলেন। মার্কিন মুলুকেও গল্ফের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। পুণে ক্লাস গল্ফ কোর্সের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর আদিত্য।
আদিত্যর স্ত্রী রাধিকা তুলপুলে। ক্রিকেট কিংবা গল্ফ নয়, রাধিকার দক্ষতা রয়েছে টেনিসে। মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। জাতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হেমন্তের পুত্রবধূ রাধিকা। জুনিয়র পর্যায়ে জিতেছিলেন বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টও।
রাধিকা বর্তমানে টেনিস প্রশিক্ষক। তাঁর কোচিংয়ে সোনা জিতছে ফিউচারপ্রো টেনিস অ্যাকাডেমির জুনিয়ররাও। ভারতের প্রাক্তন ফেড কাপ টেনিস তারকা তিনি।