খুব জোরে আওয়াজ পছন্দ করেন না।
পার্টিতে যান না।
পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটান।
মাঠে তিনি কোটি কোটি সমর্থকের চোখের মণি হতে পারেন। কিন্তু মহাতারকা হওয়ার কোনও আঁচ নিজের জীবনে ফেলতে দেন না লিওনেল মেসি। যিনি পার্টি লাইফস্টাইল নয়, বিশ্বাস করেন ছিমছাম জীবনযাপনে। পছন্দ করেন শান্ত পরিবেশ।
বার্সা কিংবদন্তির এমন স্বভাবের কথা বলছিলেন তাঁরই ক্লাব সতীর্থ ইভান রাকিটিচ। শুধু তাই নয়, মেসিকে নিয়ে একটি অদ্ভুত ঘটনার কথা ফাঁস করে দিলেন রাকিটিচ। এলএম টেনের প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে দিনরাত আওয়াজ হতো। গানবাজনা চলত। সব মিলিয়ে মেসির পরিবারের জন্য যা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত আওয়াজ বন্ধ করতে প্রতিবেশীর বাড়িটাই কিনে নিয়েছিলেন রাজপুত্র। ‘‘মেসির সব সময় সমস্যা হত প্রতিবেশীকে নিয়ে। খুব বেশি আওয়াজ করত। মেসি ওদের বলেওছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বরং জবাবে খারাপ ব্যবহার পেত। তাই মেসি প্রতিবেশীদের বাড়িটাই কিনে নিয়েছিল,’’ বলছেন রাকিটিচ।
মঙ্গলবার রাতে আবার রাকিটিচ ও মেসির দল উঠল কোপা দেল রে ফাইনালে। তাও আবার আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ১-১ ড্রয়ের পর। যার সৌজন্যে দু’পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতল বার্সা। যে ম্যাচে গোল করলেন, আবার লাল কার্ডও দেখলেন লুইস সুয়ারেজ। অর্থাৎ ফাইনালে খেলতে পারবেন না এল পিস্তলেরো। বার্সা কোচ লুইস এনরিকে বলছেন, ‘‘আমরা খুব কঠিন একটা লড়াই জিতলাম। অবশ্যই বাকি ম্যাচগুলোর মতো এটাতেও নিজেদের সর্বস্ব উজার করল প্লেয়াররা। হয়তো দারুণ ফুটবল খেলতে পারিনি। কিন্তু দিনের শেষে কাজের কাজটা করেছি।’’
আরও পড়ুন:
ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে হগ
লাল কার্ডের বিরুদ্ধে আবার আবেদন জানাতে চলেছেন সুয়ারেজ। কোকের উপর কনুই চালিয়ে লাল কার্ড দেখতে হয় বার্সা স্ট্রাইকারকে। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিলেন এল পিস্তলেরো। সুয়ারেজ বলছেন, ‘‘আমার হাসি পাচ্ছে কারণ রেফারির উদ্দেশ্যই ছিল লাল কার্ড দেখানো। আমার রাগ হচ্ছে, কারণ কিছুই করিনি। প্রথম হলুদ কার্ডটা দেখানো ঠিক হয়নি। কারণ ওটা আমার ম্যাচে প্রথম ফাউল ছিল।’’