মেসির হ্যাটট্রিক, নক-আউটে আর্জেন্তিনা

এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। নামের পাশে লিখে নিলেন হ্যাটট্রিক। ৪৯ মিনিটে রিজার্ভ বেঞ্চ ছেড়ে ওয়ার্ম আপ শুরু করতেই উচ্ছ্বাস। আর গ্যালারির সেই উচ্ছ্বাস উৎসবে পরিণত হল ৬১ মিনিটে, যখন তিনি মাঠে এলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৬ ১৫:২১
Share:

গোলের পর উচ্ছ্বাস মেসির। ছবি: এপি

আর্জেন্তিনা ৫ (ওটামেন্দি, মেসি-৩, আগুয়েরো)

Advertisement

পানামা ০

Advertisement

এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। নামের পাশে লিখে নিলেন হ্যাটট্রিক। ৪৯ মিনিটে রিজার্ভ বেঞ্চ ছেড়ে ওয়ার্ম আপ শুরু করতেই উচ্ছ্বাস। আর গ্যালারির সেই উচ্ছ্বাস উৎসবে পরিণত হল ৬১ মিনিটে, যখন তিনি মাঠে এলেন। কোপায় এই প্রথম মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি। সেই মেসি উৎসবের সেরা পুরস্কার অবশ্যই নামার সাত মিনিটের মধ্যে চেনা ছন্দে বাঁ পায়ের শিল্প আর গোল। আগমনেই হ্যাটট্রিকে কোপা আমেরিকা সেন্তেনারিও যেন রাতারাতি হয়ে গেল মেসিময়। পানামাকে ০-৫ গোলে হারিয়ে নক-আউটে পৌঁছে গেল আর্জেন্তিনা।

হার্নান্ডেজের পরিবর্তে তাঁকে মাঠে এনে ঝালিয়ে নেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন কোচ। তাঁকে বাদ দিয়েই প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছিল আর্জেন্তিনা। কিন্তু এদিন শুরুতেই ওটামেন্দির গোলে এগিয়ে গেলেও ১০ জনের পানামার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি আর্জেন্তিনা। শেষ পর্যন্ত ভরসা সেই মেসিই। তিনি এলেন আর প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্ব ফুটবলের সেরা বিজ্ঞাপন।

ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটের মধ্যেই গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন হার্নান ওটামেন্দি। এর পরই ৩১ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পানামার অ্যানিবাল গোডয়। প্রথমার্ধ শেষের কিছু আগেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গেম মেকার ডি মারিয়া। তাঁর না থাকাটা বড় ধাক্কা হতে পারত আর্জেন্তিনার জন্য যদি না মেসিকে পাওয়া যেত স্বমহিমায়। যদিও গোলমুখী আক্রমণ তেমন দেখা যায়নি পানামার তরফে। মেসি নামতে রক্ষণ সামলাতেই হারিয়ে গেল পুরো দল।

৬৮ মিনিটে হিগুয়েনের হাতে লেগেই বলটা চলে এসেছিল মেসির কাছে। যদিও হ্যান্ডবল দেননি রেফারি। বক্সের কোণা থেকে সেই চেনা বাঁ পায়ের শট গোলের ঠিকান চিনতে ভুল করেনি। ৭৮ মিনিটের মেসি যে ফ্রি কিকের সেই চেনা রাজা! ওয়ালের উপর দিয়ে দ্বিতীয় পোস্টের কোণা দিয়ে যখন বল গোলের দিকে যাচ্ছে তখন ঝাঁপিয়েও সেই বলের নাগাল পাননি গোলকিপার। ৮৭ মিনিটে আবার মেসি। একেই হয়তো বলে পায়ের জাদু। বক্সের মধ্যে সেই পায়ের খেলা। আর গোল। শেষ কাজটি অবশ্য করে গেলেন আগুয়েরো। তাঁকেও পরিবর্তে নামিয়েছিলেন কোচ। এই গোলের পিছনেও ভূমিকা রেখে গেলেন সেই মেসি। মেসির উঁচু করে বাড়ানো বল রোজোর পা হয়ে গোলকিপারের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন আগুয়েরো। গোল করতে ভুল করেননি তিনিও।

এর মধ্যেই বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন এক মেসি ভক্ত। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন মেসি। অটোগ্রাফও দেন। সেই ভক্তের জীবনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই দিন। এমন মেসিকে মাঠে দেখার পর তাঁর আলিঙ্গন কি ভোলা যায়?

অন্য ম্যাচে বলিভিয়াকে ১-২ গোলে হারিয়ে দিল চিলি।

আরও খবর...

নেইমার নেই কিন্তু এই ব্রাজিলের একটা কুটিনহো আছে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন