স্প্যানিশ মিডিয়ায় নতুন বিতর্ক

ক্লাবের কথা ভেবে দেশের জার্সিতে আপাতত নেই মেসি

লিওনেল মেসি এখন ক্লাব ফুটবল নিয়ে ঘোরতর ভাবছেন। জাতীয় দল নিয়ে নয়। তাই চোট পাওয়া আর্জেন্তিনা ক্যাপ্টেনকে বেশ অনেক মাস নীল-সাদা জার্সিতে মাঠে নামতে দেখা যাবে না। ২০১৫ পর্যন্ত কোনও ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেই এলএম টেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৫
Share:

এ বছর নয়। হয়তো পরের বছর মেসি এই জার্সিতে।

লিওনেল মেসি এখন ক্লাব ফুটবল নিয়ে ঘোরতর ভাবছেন। জাতীয় দল নিয়ে নয়। তাই চোট পাওয়া আর্জেন্তিনা ক্যাপ্টেনকে বেশ অনেক মাস নীল-সাদা জার্সিতে মাঠে নামতে দেখা যাবে না। ২০১৫ পর্যন্ত কোনও ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেই এলএম টেন। জার্মানির বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার বুধবারের গভীর রাতের ফ্রেন্ডলিতে বার্সা মহাতারকার অনুপস্থিতি দিয়েই যার শুরু। স্প্যানিশ মিডিয়ায় এ হেন জল্পনা ছড়াতেই ক্লাব-বনাম দেশ নিয়ে ফের বিতর্কের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাব আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, চোটের জন্য মেসি জার্মানির বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবেন না। গত রবিবার ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে লা লিগা ম্যাচে চোট পান তিনি। মেসির পেশিতে চোট লেগেছে বলে জানিয়েছিল বার্সা। কিন্তু ঠিক কবে তিনি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন সেটা স্পষ্ট জানানো হয়নি। তার পরই কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আর্জেন্তিনার হয়ে খেলবেন না লিও, এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। স্প্যানিশ মিডিয়া আরও জানিয়েছে ব্যাপারটা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থা। আগামী কয়েক মাসে আর্জেন্তিনার ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা ব্রাজিল আর হংকংয়ের সঙ্গেও। মেসি না নামলে আর্থিক দিক থেকেও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বে এএফএ। ‘প্রিয় লিও’-কে মাঠে দেখা যাবে না শুনে দেশজ ফুটবলমহলেও তোলপাড় চলছে।

আর্জেন্তিনার কোচ জেরার্ডো মার্টিনো অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি বলে দেন, “লিওর মতো প্লেয়ারকে কোচিং করাতে গেলে এ সব মন্তব্য তো শুনতেই হবে। কাতালুনিয়ায় আগেও বলা হয়েছিল মেসি নাকি বিশ্বকাপের কথা ভেবে ক্লাব ম্যাচে খেলছেন। অথচ লা লিগায় গত মরসুমে ৩০টা গোল করেছিল মেসি। এ বার জাতীয় দল নিয়ে সেই একই জল্পনা ছড়াচ্ছে।” সঙ্গে প্রাক্তন বার্সেলোনা কোচ আরও জানান, “মেসি জাতীয় দলে যোগ না দেওয়াতেই এই জল্পনা ছড়াচ্ছে। আমাদের মতো কোচদেরই সেই ভুল ধারণা দূর করতে হয়। যদিও সেটা খুব ক্লান্তিকর।”

Advertisement

২০০৫-এ অভিষেকের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। বছরে গড়ে খেলেছেন ১০টি ম্যাচ। এতেই নাকি পরিষ্কার, আর্জেন্তিনার জার্সিতে মাঠে নামতে তিনি কতটা উদগ্রীব থাকেন। গোল ৪২টি। আর ১৫টি গোল করলেই মেসি টপকে যাবেন আর্জেন্তিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা বাতিস্তুতার (৫৬) রেকর্ড।

অবশ্য শুধু মেসিই নন আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো যে সময়ে ফেলা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নন অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ার মতো তারকাও। সদ্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া আর্জেন্তিনীয় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বলেন, “ফুটবল মরসুম এমনিতেই বেশ দীর্ঘ। তা ছাড়া চলতি বছরের শেষ দিকে কোপা আমেরিকাও রয়েছে। তাই এই ফ্রেন্ডলিগুলো আমি পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতেই চাই।” কিন্তু বিশ্বকাপের পর তো এই প্রথম ফাইনালে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে? দি মারিয়ার উত্তর, “বিশ্বকাপের বদলার ব্যপার নয়, এটা তো স্রেফ ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর আমরা ওদের মাঠে আসছি ম্যাচ খেলতে, এটাই যা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন