মাইকেল চোপড়া।
আরাতা ইজুমি পেরেছেন। জাপানের নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বিয়ে করেছেন ভারতীয় মেয়েকে। পরে ফেলেছেন ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সিও। আরাতার ভারতীয় নাম ছিল নীলকন্ঠ। ভারতে এসে বাবাকে অনেক খুঁজেও পাননি আরাতা। ইস্টবেঙ্গলে খেলতে খেলতেই ভারতে খেলার ইচ্ছে। তার পরই ইতিহাস গড়ে ফেলা। কিন্তু তাঁর আগে থেকেই আরও একজন এই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু হয়নি।
না তাঁর কোনও ভারতীয় নাম নেই আলাদা করে। ঠিক এই স্বপ্নটাই আরাতার আগে থেকে দেখে আসছেন মাইকেল চোপড়া। স্বপ্ন দেখতে দেখতেই বয়স অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হয়তো আর সেই স্বপ্ন সফল হবে না। নিউক্যাসেল, সাদারল্যান্ডের পর কেরালা ব্লাস্টার্স। ভারতে খেলার স্বপ্ন সফল হলেও ভারতের হয়ে খেলাটা এখনও হয়ে ওঠেনি তাঁর। কিন্তু আশা ছাড়ছেন না চোপড়া।
১৯৫০ এ জলন্ধর থেকে ইংল্যান্ডে গিয়ে বসবাস শুরু করে মাইকেল চোপরার পরিবার। তার পর থেকেই তাঁরা হয়ে যান ব্রিটিশ নাগরিক। ফুটবল ভালবেসে খেলা শুরু। তার পর জুনিয়র ইংল্যান্ড দল হয়ে বিভিন্ন ক্লাব হয়ে এখন ভারতে। ‘‘আমার এখনও স্বপ্ন ভারতের হয়ে খেলা। কী ভাবে সেটা হবে সেই কাজ চলছে। আমি আমার উকিলের সঙ্গেও কথা বলেছি। কোন রাস্তায় এটা সম্ভব। আমি যখন প্রথম ভেবেছিলাম তার পর অনেকদিন পেড়িয়ে এসেছি।’’
আইএসএল-এর প্রথম বছরই মাইকেল চোপড়াকে তুলে নিয়ে চমক দিয়েছিল কেরালা। যদিও চোটের জন্য তেমনভাবে খেলার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় বছর আইএসএল-এ ডাক না পেলেও এ বছর আবার ফিরেছেন কেরালায়। আর ভারতে ফিরেই নতুন করে দেশের জার্সি পরার স্বপ্নটা ফিরে এসেছে মাইকেল চোপড়ার জীবনে। বলেন, ‘‘আইএসএলকে আমি হালকাভাবে নিয়েছিলাম। এতটাও সহজ নয়। তার পর প্রি-সিজনে আমার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট আমাকে খেলতে দেয়নি।’’ শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন চোট সারিয়ে ফিরে। ‘‘অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে খেলার সময় গোড়ালিতে আবার চোট পেয়ে পুরোপুরি ছিটকে যাই। কিন্তু তার আগে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ব্যথা নিয়ে খেলছিলাম। এখনও সেই কষ্টটা আমাকে তাড়া করে কী ভাবে কলকাতা গোলকিপার শেষ পাঁচ মিনিটে ওই অসাধারণ সেভ করেছিল।’’
নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর মাইকেল চোপড়া। খেলতে চান ভারতে। তাই প্রমাণও করতে চান এই আইএসএল আসরেই। স্বপ্ন কী আদৌ সফল হবে ব্রিটিশ এই ফুটবলারের?
আরও খবর
বার্সেলোনা শব্দটা শুনলেই খেপে যেতেন কার্লোস স্যার