—ফাইল চিত্র।
এক দশক আগে রিয়াল মাদ্রিদের ‘বি’ টিমের কোচ ছিলেন তিনি। ক্রিকেট বিশেষ দেখেন না। কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কোচিং করাতে এসে সেই স্প্যানিশ কোচ মিগুয়েল অ্যাঙ্খেল পর্তুগাল ভিকারিও যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহালি-তে মজবেন তা কে জানত!
রবিবার রাজারহাটের এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে আইএসএল ও ভারতীয় ফুটবলের উৎকর্ষ বৃদ্ধি নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আইএসএল-এর ফলে ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলে দেখা যেতে পারে এমন খেলোয়াড়ের উত্থান, যে হবে বিরাট কোহালির মতো। শুধু জাতীয় দলকেই টেনে নিয়ে যাবে না। একই সঙ্গে ফুটবল খেলতে অনুপ্রাণিত করবে আগামী প্রজন্মকেও। কারণ লিগের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কম বয়সিদের উঠে আসাটাও জরুরি ভারতীয় ফুটবলে।’’ জাভি, ইনিয়েস্তাদের দেশ থেকে এসে হঠাৎ বিরাটে মন গেল কেন স্প্যানিশ কোচের? একান্তে জানতে চাইলে মিগুয়েল বললেন, ‘‘ভারতে প্রথম আসার পরে একদিন খবরের কাগজে বড় ছবি দেখেছিলাম বিরাট কোহালির। কে এই ছেলে? টিমের ভারতীয় বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেটা একদিন ভারতীয় যুব দলের অধিনায়ক হিসেবেও বিশ্বকাপ জিতেছে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বড়দের বিশ্বকাপেও। এই মুহূর্তে গোটা ভারতের যুব সমাজের আইকন। তাই ওর প্রসঙ্গ টানতেই হল।’’
তারকা: আইএসএলের চার দলের চার ফুটবলার। বাঁ দিক থেকে মেহতাব, জয়েশ রানে, লালরেমপুইয়া ফানাই ও অ্যালবিনো গোমস। —নিজস্ব চিত্র।
গত তিন বছরে দিল্লির ডায়নামোজ-এ তারকার অভাব ছিল না। দেল পিয়েরো, রবার্তো কার্লোস, জামব্রোতা এসেছেন। কিন্তু রাজধানীর দলটির আইসিএল ট্রফি এখনও ছোঁয়া হয়নি। এ বার সফল হবে? প্রশ্ন করলে দিল্লির স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘‘ভারতে আসার আগে রবার্তো কার্লোসের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটিকে-তে খেলে যাওয়া জাভি লারা-কে বলেছিলাম আমার দলে আসার জন্য। কিন্তু ও এখন কর্ডোবাতে খেলছে। ভারতে আসতে চায়নি। স্পেন ও কাতারে প্রাক-মরসুম শিবির ভালই হয়েছে। এ বার আমাদের ট্রফি জিততেই হবে।’’
কিন্তু এই মুহূর্তে দিল্লি যে প্রতি দিনই স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে তার কুখ্যাত ‘স্মগ’-এর সৌজন্যে। শুনে হাসেন দিল্লি কোচ মিগুয়েল। বলেন, ‘‘সমস্যা তো হচ্ছেই। মাস্ক পরিয়ে অনুশীলন করাচ্ছি। কেউ কেউ অবশ্য মাস্ক পড়ছে না। একটাই সুবিধা, নভেম্বর মাসে আমাদের কোনও হোম ম্যাচ নেই।’’
সাংবাদিকদের সামনে এ দিন নিজের রণনীতিও জানিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দিল্লি কোচ। বলছেন, ‘‘আমি বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখতে পছন্দ করি। কারণ গোল করতে চাই। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলার জন্য মোটেও নয়। বলের দখল নিজেদের পায়ে থাকলে ম্যাচটাও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’’
মিগুয়েল ভিকারিও এ দিন সওয়াল করেছেন আরও লম্বা আইএসএলের জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘ক্রমে বাড়ছে আইএসএল-এর আয়তন। এ বার চার মাসের টুর্নামেন্ট। আশা করি আগামী বছর ভারতে নয় মাসের আইএসএল হবে। এতে ফুটবলাররাও মুক্ত থাকতে পারবে চোট-আঘাত থেকে।’’
টুর্নামেন্টে দিল্লি ডায়নামোজ-এর প্রথম ম্যাচ এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে। সে ম্যাচের কথা উঠলে দিল্লি কোচ বলছেন, ‘‘আমার বিদেশিদের মধ্যে কালু উচের কুঁচকির চোট সেরে গিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলাররাও ছন্দে রয়েছে। ওদের লুকা আতলেতিকো পারানায়েনস-এ খেলত। মার্সেলিনহোও দিল্লি টিমে খেলে গিয়েছে। ওদের কোচ রানকো পোপোভিচ যে ৪-৩-৩ ছকে খেলে থাকেন সেটাও জানি।’’