রিও অলিম্পিক্স থেকে কোনও পদক এখনও আসেনি। কিন্তু বিতর্কের ‘পদক’ কোনও না কোনও দিন ঠিকই ঝুলে যাচ্ছে ভারতের গলায়।
কখনও দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল টুইটে বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের নাম ভুল করছেন। কখনও ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুচরদের বিরুদ্ধে অ্যাক্রেডিটেশন ছাড়াই গেমস ভিলেজে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠছে।
কখনও আবার ব্রাজিলের ভারতীয় দূতাবাস থেকে অভুক্ত ফিরছেন হকি প্লেয়াররা!
শেষ ঘটনাটা ঘটে স্বাধীনতা দিবসের দিন। ১৫ অগস্ট। যেখানে নাকি ভারতীয় দূতাবাসে ভারতের হকি প্লেয়াররা স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে যান। রীতিমতো গেমস ভিলেজে নৈশভোজ বাতিল করে। এবং গিয়ে দেখেন ঠিকঠাক কোনও খাবার সেখানে নেই। যা নিয়ে উপস্থিত প্লেয়ারদের কেউ কেউ ক্ষিপ্ত ভাবে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেন, পুরো ব্যাপারটা অত্যন্ত হতাশজনক।
রিওর অলিম্পিয়ান রিইউনিয়ন সেন্টারে সোমবার স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ভারতের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। কিন্তু সময়টা এমন ছিল যে, অধিকাংশ অ্যাথলিট যেতে পারেননি। ভারতীয় মিডিয়াও পারেনি যেতে কারণ তখন বক্সিং এবং ব্যাডমিন্টন চলছিল। শেষ পর্যন্ত শুধু ভারতের দুই হকি দলকে পাওয়া যায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মতো। কারণ ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি টিম—দু’টোই অলিম্পিক্স মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছে ইতিমধ্যে। সংবাদসংস্থার কাছে প্লেয়ারদের কেউ কেউ পরে বলেন যে, অনুষ্ঠানে ডিনার থাকবে ধরে নিয়ে গেমস ভিলেজে নৈশভোজ করবেন না বলে দিয়ে অনুষ্ঠানে চলে যান। কিন্তু গিয়ে দেখেন বিয়ার, ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে শুধু বাদাম পরিবেশন করা হচ্ছে।
ঘটনা হল, দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণটা নৈশভোজের ছিল, না কি শুধু স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানেরই তা পরিষ্কার নয়। অ্যাথলিটরা সে সব কিছু বলেনওনি। ভারতের শেফ দ্য মিশন রাকেশ গুপ্তকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে সংবাদসংস্থা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘প্লিজ হকি প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলে নিন। ওরা ভাল বলতে পারবে। আমি একটু ঘুরে চলে এসেছিলাম। কারণ এখানে বিকাশ কৃষাণের বক্সিং বাউট ছিল।’’