মহম্মদ আমের। গড়াপেটা কলঙ্ক এখন অতীত। ইয়াসির শাহ। ডোপ করে কাঠগড়ায়।
নিউজিল্যান্ডে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি সফরের দোরগোড়ায় পাকিস্তান তাদের এক প্রতিভাবান পেসারকে যদি ফেরত পেতে চলে, তা হলে হারাচ্ছে এক প্রতিভাবান স্পিনারকে!
স্পট ফিক্সিং কলঙ্কিত মহম্মদ আমের নিউজিল্যান্ডগামী দল গঠনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে আজ করাচিতে পাক শিবিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে চাইলে সতীর্থরা তাঁকে শেষমেশ টিমের অংশ হিসেবে মেনে নেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়ান ডে অধিনায়ক আজহার আলি এবং ওপেনার মহম্মদ হাফিজ। যাঁরা দিনকয়েক আগে সাফ বলে দিয়েছিলেন, আমের শাস্তিমুক্ত হয়ে ফিরলেও তাঁর মতো কলঙ্কিত সতীর্থ থাকলে তাঁরা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন। যে জট পাক বোর্ড প্রধান শাহরিয়র খানের হস্তক্ষেপেও পুরো কাটেনি। কিন্তু আমেরের কান্নায় মন গলল আজহারদের। যা খবর, আমের নিউজিল্যান্ডও যাচ্ছেন দলের সঙ্গে।
কিন্তু তাতেও পাক ক্রিকেটে মধুরেণ সমাপয়েৎ বলা যাচ্ছে না। কয়েক সপ্তাহ আগেই আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট দলে নির্বাচিত একমাত্র স্পিনার পাকিস্তানের ইয়াসির শাহকে ডোপিংয়ের জন্য সাময়িক নির্বাসিত করল আইসিসি। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘ইয়াসির ডোপিং বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর প্রথম নমুনায় নিষিদ্ধ ক্লোটালিডন পাওয়া গিয়েছে। যে নমুনা খেলা চলাকালীন নিয়ে পরীক্ষা হয় ১৩ নভেম্বর। দ্বিতীয় নমুনাও পজিটিভ হলে ইয়াসির আরও কঠিন শাস্তি পাবেন।’’
পাকিস্তানের সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ে ইয়াসির যথাক্রমে ১২, ১০ এবং ২৪ উইকেট নিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিভাবান পাক স্পিনার মাত্রই যেন আইসিসির কোপে পড়ছেন সম্প্রতি। ইয়াসিরের আগে সইদ আজমল নির্বাসিত হয়েছিলেন বেআইনি বোলিং অ্যাকশনের জন্য। পাক নির্বাচক প্রধান হারুণ রশিদ বলেছেন, ‘‘প্রতি দিন ঘুম ভেঙে এক একটা নতুন সমস্যার সামনে পড়ছি।’’ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, ইয়াসিরের জায়গায় বাঁ-হাতি পেসার আমের দলে ফিরতে পারেন।