Mohammed Shami

‘আত্মহত্যার কথা মাথায় এসেছিল আমারও, একা থাকতে দেয়নি পরিবারের সদস্যরা’

স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির সময় হতাশা সঙ্গী হয়েছিল শামিরও। তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন হাসিন। সেই সময় আত্মহত্যার ভাবনাও মাথায় এসেছিল তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ১৪:৪৪
Share:

সুশান্ত সিংহ রাজপুত ও মহম্মদ শামি।

যদি কথা বলতে পারতাম বন্ধু সুশান্তের সঙ্গে! আক্ষেপ ঝরে পড়ছে মহম্মদ শামির গলায়।

Advertisement

গত রবিবার মৃত্যু হয়েছে বলিউডের ‘এম এস ধোনি’ সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। প্রতিভাবান তারকার অপমৃত্যু নিয়ে চলছে চর্চা। ধোনির বায়োপিক করার সময় ভারতীয় ক্রিকেটারদের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু সেই কারণেই স্পর্শ করেছে শামিকে। তিনি বলেছেন, “হতাশা এমন একটা সমস্যা, যেখানে দরকার পড়ে অন্যের মনোযোগের। এটা খুব দুঃখের যে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মতো অসাধারণ এক অভিনেতার জীবন চলে গেল। ও ছিল আমার বন্ধু। ইশ, যদি কথা বলতে পারতাম ওর সঙ্গে। তা হলে ওর অবসাদের ব্যাপারে জানতে পারতাম। আমার ক্ষেত্রে আমার পরিবার খারাপ সময়ে পাশে থেকেছে, যত্ন নিয়েছে। আমার যে লড়াই করা দরকার, সেই উপলব্ধি করিয়েছে।”

আরও পড়ুন: আইপিএলে চিনা সংস্থা স্পনসর থাকলে লাভ ভারতেরই, দাবি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষের​

Advertisement

আরও পড়ুন: রোহিত নয়, কোহালিকেই সেরা বাছলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক​

স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির সময় হতাশা সঙ্গী হয়েছিল শামিরও। তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন হাসিন। সেই সময় আত্মহত্যার ভাবনাও মাথায় এসেছিল তাঁর। সেই কঠিন মুহূর্তে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন জাতীয় দলের ডানহাতি পেসার। শামির কথায়, “আত্মহত্যার কথা মাথায় এসেছিল আমার। কিন্তু কখনই একা থাকতে দেয়নি পরিবারের সদস্যরা। কেউ না কেউ ঠিক পাশে থাকত, কথা বলত আমার সঙ্গে। আধ্যাত্মিক ভাবনাও জুগিয়েছিল শক্তি। ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলা বা কাউন্সেলিং হল সেরা উপায়।”

ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও পাশে পেয়েছিলেন শামি। তিনি বলেছেন, “মানসিক চাপ প্রভাব ফেলে শারীরিক শক্তিতে। তবে অন্যদের সঙ্গে কথা বললে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। আমি সৌভাগ্যবান যে, জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ থেকে বিরাট কোহালি, সবাইকে পাশে পেয়েছি। আমরা একটা পরিবারের মতো ছিলাম। সতীর্থরা বোঝাত যে, আমার রাগ ও হতাশা যেন বল হাতে মেলে ধরি। আমি খুশি যে সেই সময়টা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন