Sports News

মোহনবাগানের হারের ম্যাচে ভিলেন লোডশেডিং

অন্ধকারে ডুবল আই লিগের মাঠ! তাও এক-দু’মিনিট নয় পুরো আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকল ভাস্কোর তিলক ময়দান স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট। তার মধ্যেই মোহনবাগানকে ১-২ গোলে হারিয়ে দিল চার্চিল ব্রাদার্স।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ২২:৪২
Share:

চক্রব্যূহ: চার্চিল ব্রাদার্সের রক্ষণে এ ভাবেই বারবার আটকে গেলেন মোহনবাগানের জেজে। ছবি: এআইএফএফ।

চার্চিল ব্রাদার্স ২ (উলফ, লিংদো)

Advertisement

মোহনবাগান ১ (প্রবীর)

অন্ধকারে ডুবল আই লিগের মাঠ! তাও এক-দু’মিনিট নয় পুরো আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকল ভাস্কোর তিলক ময়দান স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট।

Advertisement

তার মধ্যেই মোহনবাগানকে ১-২ গোলে হারিয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিল চার্চিল ব্রাদার্স। এ বার কোচ ডেরেক পেরেরার হাত ধরে। এ সবের মাঝেই আয়োজকদের মুখ পুড়ল আলো নিভে।

এটা যদিও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অতীতেও এমনটা ঘটেছে। এ রাজ্যেই যুবভারতী সাক্ষী থেকেছে আলো নিভে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার। গোয়াও ব্যাতিক্রম নয়। কিন্তু সেই অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার সময় যে এতটা দীর্ঘায়িত হবে, তা কে জানত!

আরও খবর: পাইনের জোড়া গোলে শিলং জয় ইস্টবেঙ্গলের

ম্যাচ শুরুর ২৪ মিনিটের মধ্যেই গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীর দাস। সনি নর্ডির মাপা ক্রস থেকে গোল করতে ভুল করেননি প্রবীর। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে শেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রথম থেকেই লড়াই দিতে শুরু করে চার্চিল। দেবজিৎ বাঁচিয়ে না দিলে ৫৪ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত তারা। ৬০ মিনিটে ডাফির শট চার্চিল গোলকিপার আটকে না দিলে আবার এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু, সেটা তো হলই না বরং গোল হজম করে বসল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ৬৫ মিনিটে অ্যান্থনী উলফের গোলে সমতায় ফেরে চার্চিল। ৭৪ মিনিটে চেস্টারপল লিংদোর গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ডেরেক পেরেরার দল। দায়িত্ব নিয়েই ধুকতে থাকা দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন ডেরেক। কিন্তু টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে বাধ সাধল ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

ম্যাচের ঠিক ৮০ মিনিটে পুরো মাঠ অন্ধকারে ডুবে যায়। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এর পর প্রেসবক্স আর গ্যালারিতে আলো ফিরে এলেও ফ্লাড লাইট জ্বলেনি। ১৪ মিনিটে মাথায় এক পাশের লাইট জ্বলে উঠতে কিছুটা আশা আলো দেখা গেলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার পুরো মাঠ অন্ধকার হয়ে যায়। ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর শেষ পর্য্ন্ত খেলা শুরু হয়। কিন্তু ফলের কোনও পরিবর্তন হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই রেফারির রিপোর্টের উপর এই বিপর্যয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন।

মোহনবাগান: দেবজিৎ, প্রীতম, এডু, আনাস, শুভাশিস, কাতসুমি, প্রবীর (শৌভিক), বিক্রমজিৎ (শেহনাজ), সনি, জেজে (বলবন্ত), ডাফি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন