আই লিগে টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে মোহনবাগান। গোয়া থেকে দু’ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে। রয়েছে লিগ তালিকার শীর্ষে। তবু স্বস্তিতে নেই বাগান কোচ সঞ্জয় সেন।
কেন?
লিগ টেবলের দিকে তাকালেই সঞ্জয়ের অস্বস্তির কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঘাড়ের কাছেই যে নিঃশ্বাস ফেলছে বেঙ্গালুরু। বুধবার শিলং লাজংকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলেছে অ্যাশলে ওয়েস্টউডের টিম। উদান্ত সিংহ এবং সঙ ইয়ং-এর গোলে। সমসংখ্যক ম্যাচ (১০) ম্যাচ খেলে বাগানের চেয়ে এই মুহূর্তে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে সুনীল ছেত্রীরা। বেঙ্গালুরুর ফল জানার পর থেকেই আক্ষেপ করে চলেছেন সঞ্জয়। বলছিলেন, ‘‘গোয়াতে দু’ পয়েন্ট নষ্ট করায় পয়েন্টের ব্যবধান তো কমে গেলই। আমরা সবচেয়ে খারাপ ফুটবল স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে খেলেছি। তবে পরের ম্যাচগুলোতে আরও সতর্ক হতে হবে।’’
আই লিগের মাঝে আবার এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে। তার জন্য রবিবার হংকং উড়ে যাচ্ছেন সনি নর্ডিরা। ফিরে এসেই আবার ঘরের মাঠে খালিদ জামিলের মুম্ব ই এফসির বিরুদ্ধে খেলতে হবে। যে ম্যাচে কোনও ভাবেই হারা চলবে না, ফুটবালরদের এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন বাগান কোচ। আসলে মুম্বইয়ের পর আবার আইজলের বিরুদ্ধে পাহাড়ে খেলতে যেতে হবে মোহনবাগানকে। যে টিমটা এ দিন কুপারেজে মুম্বই এফসি-কে আটকে দিয়েছে। ২-২ ড্র করেছে তারা। স্বভাবতই চিন্তার সুর সঞ্জয়ের গলাতে। ‘‘এই মুহূর্তে সব ম্যাচই খুব কঠিন। অকারণ পয়েন্ট নষ্ট করা মানেই আরও চাপে পড়ে যাওয়া।’’
এ দিন সকালেই গোয়া থেকে ফিরে এসেছে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে এএফসি কাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চান সঞ্জয়। এ দিন বলছিলেন, ‘‘আমাদের দু’টি আলাদা ফোকাস রয়েছে। আই লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে এএফসি কাপের কথা ফুটবলারদের একেবারে মাথা থেকে বের করে দিতে বলি। ঠিক উল্টোটা করতে বলি, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে নামার আগে।’’ এ দিকে ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের চোট চিন্তায় রেখেছে বাগান কোচকে। যদিও এক্স রে রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যথা কমলে এমআরআই করা হবে। গোয়াতে তাঁকে রেখে আসা হয়েছে। ব্রেন্ডনকে নিয়ে হংকং যাচ্ছেন না সঞ্জয়।