ছিয়াশি মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ১-১।
কোচ-সহ পুরো মোহনবাগান টিম উৎকন্ঠা নিয়ে টিভির সামনে। কর্তারাও। ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট নষ্ট করলেই ফের স্বস্তি ফিরবে তাঁদের সবার। আর ঠিক এই সময়ই পেনাল্টি। নিজেদের বক্সে ইস্টবেঙ্গলের আল আমনাকে ফেলে দিলেন পাঠচক্রের স্টপার ভিক্টর খামুকা। এবং তা থেকে গোল ইস্টবেঙ্গলের। ছয় ম্যাচের পরে লিগ টেবিলে পড়শি ক্লাবের চেয়ে দু’পয়েন্ট পিছিয়েই থাকল মোহনবাগান।
আর খেলা শেষ হওয়ার তেইশ সেকেন্ডের মধ্যেই ফেসবুকে মোহনবাগানের এক শীর্ষ কর্তা তোপ দাগলেন, ‘‘এই সাকার্সের লিগটা না খেলাই ভাল। গত বছর এই সার্কাস লিগের ডার্বি খেলিনি বলে তাই আমার অন্তত কোনও আফসোস নেই।’’
মোহনবাগান সহ-সচিবের এই মন্তব্যের পরেই ঝামেলার শুরু। বিতর্কও। মন্তব্যের লক্ষ্য যে-হেতু ইস্টবেঙ্গল এবং আইএফএ, তাই পাল্টা মন্তব্যও ছুটে এসেছে মুহূর্তে। ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তার মন্তব্য, ‘‘উনি সবার চেয়ে ফুটবলটা হয়তো বেশি বোঝেন।’’
আরও পড়ুন:
দেল পোত্রোর কাছে হেরে স্বপ্ন শেষ ফেডেরারের
আবার আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, ‘‘কে কোথায় ফেসবুকে বা টুইটারে কী লিখল, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। দেখতে হবে তিনি রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে অপমানজনক কিছু বলেছেন কি না। সেটা হলে যা করার করব।’’
এখনও লিগ শেষ হয়নি। বাকি রয়েছে লিগের প্রধান তিনটি খেলা। দু’টো মিনি ডার্বি এবং একটা আসল ডার্বি। আইএফএ সচিব তাই বিতর্কে জড়াবেন না। এটাই স্বাভাবিক।
সামনের রবিবারই কামো-ক্রোমাদের ম্যাচ মহমেডানের সঙ্গে। আজ শুক্রবার অনুশীলনের পরে ওই ম্যাচ নিয়ে সবাইকে তাতাতে পেপটক দেবেন বলে ঠিক করেছেন সবুজ-মেরুন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। মিনি ডার্বিতে পয়েন্ট নষ্ট করলেই শেষ হয়ে যেতে পারে কা-ক্রো জুটির লিগ খেতাব অভিযান। শঙ্কর বললেন, ‘‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলেই তো আমরা চ্যাম্পিয়ন। এটাই বলব সবাইকে।’’