ভরসা: মোহনবাগান মাঠে সনি অনুশীলনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
প্রশ্ন: আবার একটা ডার্বি। শিলিগুড়িতে এ বার জিতবেন তো?
সনি: রবিবারের ডার্বিটা আই লিগের এমন একটা সময় হচ্ছে যে, এই পর্বটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গতবার প্রথম পর্বের ম্যাচটা সবাই সতর্ক ছিল। কারণ লিগের অনেক ম্যাচ বাকি ছিল। কেউ ঝুঁকি নেয়নি। এ বার কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। জিতলে আমরা খেতাবের দিকে আশি শতাংশ এগিয়ে যাব। অন্য কিছু হলে সমস্যা হবে। ড্র নয়, ম্যাচটা জিততে চাই।
প্রশ্ন: আপনাদের টিম তো পর পর দু’টো ম্যাচে অনায়াস জয় পেয়েছে। স্বদেশী এবং বিদেশি দলের বিরুদ্ধে। এটা তো ডার্বির আগে বিরাট সুবিধে?
সনি: পর পর জয় টিমের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ঠিক। কিন্তু তিন বছর এখানে থেকে দেখেছি ডার্বিতে কেউ ফেভারিট হয় না। ওটা অন্য ম্যাচ। এমনিতেই এ বারের আই লিগে কেউ ফেভারিট নয়। ছোট টিম গুলোই হারিয়ে দিচ্ছে যে কোনও শক্তিশালী টিমকে। কেউ ভেবেছিল যে, এভাবে আইজল পরপর ম্যাচ জিতে লিগ খেতাবের দাবিদার হবে। সবার উপরে চলে যাবে।
প্রশ্ন: তিন বছর হয়ে গেল ডার্বি খেলছেন। একটাও গোল কিন্তু নেই আপনার। এ বার হবে?
সনি: আমি গোল পাইনি বলে দুঃখ নেই। গোল যেই করুক ম্যাচটা জিততে পারলেই হল। বেঙ্গালুরু ম্যাচে তো আমি গোল পাইনি। কিন্তু তিনটে গোলেরই পাস বাড়িয়েছি। টিম জিতেছে। এতেই আমি তৃপ্ত। গোল করি না করি, ম্যাচটা আমরা জিতলেই হল। মোহনবাগানের জয় চাই।
প্রশ্ন: কিন্তু শেষ দু’টো ম্যাচে তো চোট সারিয়ে আপনি খুব ভাল ফর্মে। অনেকটা প্রথম মরসুমের মতো। মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য কী বলবেন?
সনি: চোট সেরেছে। চোটের জন্য সমস্যা হচ্ছিল। ভাল খেলছি কি না সেটা খেতাব জেতার পর বোঝা যাবে। ভাল খেললাম কিন্তু ট্রফি এল না, এতে লাভ নেই। আমি একা কেন, সবাইকে ভাল খেলতে হবে। সনি একা ম্যাচ জেতাবে না। সবাই মিলে জেতাবে।
প্রশ্ন: আপনার হাইতিয়ান বন্ধু ওয়েডসন বলেছেন, আপনাকে খেলতে দেবেন না। আটকে দেবেন যে কোনও ভাবেই।
সনি: ওয়েডসন আমার বন্ধু মাঠের বাইরে। মাঠের ভিতর আমার শত্রু। ওকে হারানোই আমার লক্ষ্য হবে রবিবার। খেলা তো হবে মাঠে। ওয়েডসন কী বলেছে জানি না। তবে ও ইস্টবেঙ্গলের এগারো জন ফুটবলারের মধ্যে একজন। এর বাইরে কিছু বলব না।
প্রশ্ন: আপনার বন্ধু আনন্দবাজারকে বলেছেন, সনিকে আটকানো যাবে। কিন্তু কাতসুমিকেই তাঁর ভয় বেশি।
সনি: এটা ওর ভাবনা। আমি কী বলব!
প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গল কোচ কলকাতায় বলেছেন, সনিকে ফের আটকে দেবে রাহুল ভেকে। এখানে এসে বলছেন, সনি-ই মোহনবাগানের ম্যাচউইনার।
সনি: ইস্টবেঙ্গল নিয়ে কোনও কথা বলব না। ওরা ভাল টিম। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইতে আছে। ওরাও তো জিততে চাইবে।
প্রশ্ন: শিলিগুড়িতে একটা ম্যাচও জেতেননি। গত বছর এখানে এসেও চোটের জন্য খেলতে পারেননি। শেষ ম্যাচেও জেতেনি। সেটা পাল্টাবে?
সনি: ডার্বিতে এভাবে জেতা-হারার কথা কেউ বলতে পারে না। আমাদের টিম তৈরি ভাল খেলার জন্য। এ বার দেখা যাক কী হয়।
প্রশ্ন: শিলিগুড়িতে আপনাদের হোম ম্যাচ হচ্ছে। এটা তো ইস্টবেঙ্গলের শহর। মাঠ ভর্তি লাল-হলুদ দর্শক থাকবে। ঘরের মাঠের সুবিধেটা পেলেন কোথায়?
সনি: আমি পেশাদার ফুটবলার। যেখানে গিয়ে খেলতে হবে সেখানেই খেলব। কোনও সমস্যা নেই।