সুসাককে অন্য পথে আনার চেষ্টায় ইস্টবেঙ্গল

সুভাষের পরিবর্ত খুঁজতে সমস্যায় বাগান

সুভাষ ভৌমিকের জায়গায় নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খোঁজার ভাবনা শুরু হয়ে গেল মোহনবাগানে। এবং তা করতে গিয়ে তীব্র সমস্যায় ক্লাব কর্তারা। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র মঙ্গলবার বলে দিলেন, “ফেডারেশনকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। ওরা যা বলবে তাই করব। ওরা যদি আমাদের টিডিকে কোচিং করতে না দেয়, তা হলে তো নতুন কাউকে খুঁজতেই হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:১৯
Share:

আর দেখা যাবে এই ছবি?

সুভাষ ভৌমিকের জায়গায় নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খোঁজার ভাবনা শুরু হয়ে গেল মোহনবাগানে। এবং তা করতে গিয়ে তীব্র সমস্যায় ক্লাব কর্তারা। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র মঙ্গলবার বলে দিলেন, “ফেডারেশনকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। ওরা যা বলবে তাই করব। ওরা যদি আমাদের টিডিকে কোচিং করতে না দেয়, তা হলে তো নতুন কাউকে খুঁজতেই হবে।”

Advertisement

আর এখানেই সমস্যা শুরু বাগানে। সুভাষের জায়গায় কাকে টিডি করা হবে এবং টাকা-পয়সা কে দেবে তা নিয়ে সচিব ছাড়া আপাতত ভাবার মতো কেউ নেই ক্লাবে। কারণ বাগান যে চার জন মূলত চালান তাঁদের তিন জনই নেই অথবা সময় দিতে পারছেন না। ক্লাবের সহসচিব সৃঞ্জয় বসু সারদাকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে। তাঁকে আইনি সাহায্য দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট টুটু বসু, অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। তাঁদের কারও ক্লাব নিয়ে এখন ভাবার সময় নেই এখন। আজ বুধবার আদালতে ফের উঠছে সৃঞ্জয়-মামলা। এই ডামাডোলের মধ্যে সুভাষকে নিয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া সবুজ-মেরুনে।

ফেড কাপে তো নয়ই, আই লিগেও সুভাষের রিজার্ভ বেঞ্চে বসার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। দিল্লিতে ফোন করে জানা গেল, ফেডারেশন কর্তারা ঠিক করেছিলেন তাঁদের টিডি রব বানের সামনে সুভাষকে পরীক্ষায় বসিয়ে একটা সার্টিফিকেট জোগাড় করিয়ে দেবেন। কিন্তু বতর্মান টিডি রব বান দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ায় সেটা আর হয়নি। এ দিনই ম্যানিলায় এ এফ সি-র সভায় যোগ দিতে গেলেন সচিব কুশল দাশ। আজ যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। তাঁরা কি সুভাষের জন্য সওয়াল করবেন? সুব্রতবাবু বললেন, “এটা তো এ এফ সি-র ব্যাপার। আমি গিয়ে বড় জোর খোঁজ খবর নিতে পারি।” ফেডারেশন কর্তার কথাতেই পরিষ্কার দু’তিন মাসের আগে কিছু হবে না। ডিসেম্বরের শেষে ফেড কাপ। ১৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আই লিগ। ফলে চমকপ্রদ কিছু না ঘটলে সুভাষ রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে নতুন কোচ খুঁজতেই হবে বাগানকে। অঞ্জন বললেন, “দু’তিন দিনের মধ্যে এ ব্যাপারটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাতে সময় কম।” কিন্তু প্রশ্ন হল সুভাষের জায়গায় কে? সুব্রত ভট্টাচার্যর ‘এ’ লাইসেন্স নেই। ট্রেভর মর্গ্যান জাতীয় কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করে বসে আছেন। ফলে নতুন টিডি ঠিক করতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে বাগান কর্তাদের।

Advertisement

বাগানে যখন সহসচিব আর টিডি নিয়ে ডামাডোল, তখন ইস্টবেঙ্গল সমস্যায় তাদের কোচের মনোভাব আর আইএসএল ফুটবলারদের চোট নিয়ে। অভিজিৎ মণ্ডল, রবার্ট, লোবো, অভিষেক দাশ, মেহতাব হোসেন, জোয়াকিম আব্রাঞ্চেজের চোট নিয়ে চিন্তায় লাল-হলুদ শিবির। অবশ্য এরই মধ্যে বেশি অনুশীলন হয়ে গিয়েছে বলে চার দিন পুরো টিমকে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন কোচ আর্মান্দো কোলাসো। তাঁর সঙ্গে ক্লাবের বতর্মান কর্তাদের যোগাযোগ নেই বহু দিন। সকালে কোচিং করিয়ে চলে যান, বিকেলে আসেন না ক্লাবে। বিকেলে আবার বড় কর্তারা আসেন। এরই মধ্যে আবার অস্ট্রেলীয় লিগ খেলা মিলান সুসাককে আনার জন্য চেষ্টা শুরু হল। তাঁকে নাকি তাঁর পুরনো ক্লাব তাড়িয়ে দিয়েছে গত জানুয়ারিতে। সেই ক্লাবের কাছে নো-অবজেকশনের চিঠি চাওয়া হয়েছে। তা হলেই নাকি তিনি মুক্ত ফুটবলার হয়ে যাবেন। খেলতেও পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন