ইস্টবেঙ্গলের শুভনীল ঘোষের ট্যাকল এড়িয়ে গোলের দরজা খুলতে চলেছে মোহনবাগানের দীপ সাহা। -নিজস্ব চিত্র
বড়দের ডার্বি হয়নি। তাই অনূর্ধ্ব-১৬ যুব লিগে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল-ই কার্যত এ মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। আর সেই ম্যাচে নিজেদের মাঠে মোহনবাগান ২-০ জিতল সোমবার। দু’অর্ধেরই একদম শেষ দিকে সবুজ-মেরুনের দু’টি গোল করে দীপ সাহা এবং সৌগত হাঁসদা।
ম্যাচ শেষে অশোকনগরের দীপ বলে গেল, তার আদর্শ অসীম বিশ্বাসের মতো ভবিষ্যতে খেলতে চায়। আর মুর্শিদাবাদের সৌগত বলছে, ‘‘আমাদের সিনিয়র টিমের প্রবীর দাসকে ফলো করি। ওর মতোই এক দিন ভারতের জার্সিতে খেলতে চাই।’’
ছোটদের ডার্বি হলেও মোহন-ইস্ট রেষারেষি আর উত্তেজনা ছিল এ দিনের ম্যাচে। যদিও তার পরিমাণ সামান্যই। বাগানের প্রথম গোলের পর মাঠে হাজির দু’দলের সমর্থকের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা রুখে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। যদিও দুই প্রধানের সমর্থকরদেরই ধিক্কার প্রাপ্য ছোটদের ম্যাচেও গ্যালারি থেকে প্রায় অনবরত ছাপার অযোগ্য গালিগালাজ করার জন্য। সবুজ-মেরুন ভক্তরা তো আবার বিপক্ষ লাল-হলুদ সমর্থকদেরও গালমন্দ করছিলেন গ্যালারিতে রীতিমতো চোঙা সঙ্গে এনে!
মাঠে মোহনবাগান ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া ক্লাবের আর কোনও শীর্ষ কর্তা হাজির ছিলেন না। যতই কিনা ইস্টবেঙ্গল এ দিন বাগানে অতিথি দল হিসেবে খেলতে আসুক না কেন! বরং হাজির ছিলেন একঝাঁক প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার-সহ সিনিয়র দলের বর্তমান কোচ সঞ্জয় সেন ও তাঁর সহকারীরা। ছোটদের ডার্বি জয় দেখেও বড়দের বাগান কোচ সঞ্জয় বলে ফেললেন, ‘‘আমাদের ক্লাব জিতলেও দর্শকদের এ ধরনের আচরণ মোটেই কাম্য নয়।’’ ছোটদের বাগান কোচ অনন্ত ঘোষও বললেন, ‘‘সব দলের সমর্থকদের কাছে আবেদন বাচ্চাদের ম্যাচে দয়া করে গালমন্দ করবেন না।’’
ঘরের মাঠে এ দিন শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে চেপে ধরেছিল বাগান। প্রথমার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন। কিন্তু ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেনি বাগানের উজ্জ্বল বাগ। দ্বিতীয়ার্ধেও ফের সহজ সুযোগ নষ্ট করে উজ্জ্বল। শেষ দিকে মিনিট দশেক বাগান বক্সে চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই সময় বাগানের ত্রাতা হয়ে ওঠে গোলকিপার অভিজিৎ সর্দার। উল্টে একেবারে শেষের দিকে প্রতি আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেয় বাগানই। যারা যুব লিগে তিনটে ম্যাচই জিতে পুরো নয় পয়েন্ট পেল।