আবার বিশ বাঁও জলে কলকাতা লিগের ডার্বি। ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের। তার আগে বাতিল হয়ে গেল অস্থায়ী গ্যালারির পরিকল্পনা। নিরাপত্তার কথা ভেবেই বাতিল করা হল এই সিদ্ধান্ত। যার ফলে মাত্র ৮ হাজারের গ্যালারিতে হবে ডার্বি। যেটা অতীতে কখনও হয়নি। এদিন ডার্বির একদিন আগে কল্যাণী স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পিডব্লুডি-র প্রতিনিধিরা। তার পরই বাতিল হয় অস্থায়ী গ্যালারির পরিকল্পনা।
সোমবার ক্লাব তাঁবুতে ডার্বি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মোহনবাগান। যেখানে প্রথম প্রশ্ন গ্যালারি নিয়েই। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেখানে ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৬৪০০ সেখানে আগের কথা মেনে ৪০০০ হাজার টিকিট দেওয়ার কথা যে আইএফএ বলেছিল সেটা মেনে নিয়েছিল ক্লাব। কিন্তু এখন অস্থায়ী গ্যালারি পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় সেই টিকিট এসে দাঁড়িয়েছে ২০০০এ। যেটা ক্লাবগুলোর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যদিও ইস্টবেঙ্গল এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেনি।
শুধু তাই নয়। মোহনবাগানের যা বক্তব্য তাতে, ভাল ফুটবলের জন্য অন্তত ৪৮ ঘণ্টার সময় দরকার হয়। সেই ভেন্যুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যা ভেবে প্লেয়ারদের থাকার জন্য লেক হলও বুক করা হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের।
সরাসরি উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশ্বাসঘাতক বলছে মোহনবাগান। কারণ, আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় নাকি মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসুকে বলেছিলেন, ৯ অথবা ১০ সেপ্টেম্বর ডার্বি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যদি টালিগঞ্ঝ ম্যাচের রিপ্লে নিয়ে মোহনবাগান তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে। তাতে বাগান সভাপতি সেই কথায় সায় দিয়ে আগে রিপ্লের দাবি থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই পাল্টি। যেহেতু ঘটনাটি অফিশিয়ালি হয়নি তাই অস্বীকারও করতে পারেন আইএফএ সচিব। সেটাই চাইছে ক্লাব। তিনি একবার অস্বীকার করুক।
আরও প্রশ্ন তুলেছে মোহনবাগান। যেখানে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল ডার্বিতে কোন দিকের গ্যালারি কার জন্য রাখা হয়েছে। কত করে টিকিট পাবে ক্লাবগুলো। যদি আজ ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে পিডব্লুডি তা হলে অত আগে থেকে কী করে বলা হল। ময়দানে একটা ম্যাচ করার একমাস আগে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তারপর ফিক্সচার তৈরি হয়। আর এখানে একদিন আগে সব স্থির হচ্ছে।
যা অবস্থা তাতে ৭ সেপ্টেম্বর কল্যাণীতে ডার্বি না হওয়ার সম্ভবনাই প্রবল। যদিও আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ডার্বি ৭ সেপ্টেম্বরই হচ্ছে। এর পর মোহনবাগান যদি না খেলতে চায় তা হলে আইএফএ-এর নিয়ম অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও খবর
সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাবেন আইএফএ সচিব