চিনে লক্ষ্যভেদ, দলগত সোনা মনিকার

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তিরন্দাজি সরঞ্জামেই বাজিমাত করল নয়াগ্রামের মনিকা সরেন। চিনের তাইপেই-তে সেকেন্ড স্টেজ এশিয়া আর্চারি কাপ ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে দলগত ভাবে সোনা জিতেছে ভারত। আর সেই বিজয়ী দলেই রয়েছে জঙ্গলমহলের মেয়ে মনিকা। ৭-১৪ ই সেপ্টেম্বর চিনে চলছে আন্তর্জাতিক স্তরের এই তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৯
Share:

মনিকা সরেন। — নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তিরন্দাজি সরঞ্জামেই বাজিমাত করল নয়াগ্রামের মনিকা সরেন। চিনের তাইপেই-তে সেকেন্ড স্টেজ এশিয়া আর্চারি কাপ ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে দলগত ভাবে সোনা জিতেছে ভারত। আর সেই বিজয়ী দলেই রয়েছে জঙ্গলমহলের মেয়ে মনিকা।

Advertisement

৭-১৪ ই সেপ্টেম্বর চিনে চলছে আন্তর্জাতিক স্তরের এই তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা। সেখানেই দেশের হয়ে সাফল্য এসেছে মনিকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর আগে এশিয়া কাপেও মেয়েদের তিরন্দাজি বিভাগে দলগত ভাবে বোঞ্জ পেয়েছেন মনিকা।

অভাব-অনটনের সঙ্গে লড়েই এগিয়ে চলেছে এই জঙ্গলমহল কন্যা। নয়াগ্রামের বড়খাগড়ি অঞ্চল জনকল্যাণ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরিবারের এক ফসলি জমির ধান বিক্রির টাকা নিয়ে ব্যাঙ্ককে এশিয়া কাপে গিয়েছিল সে। পাঁচ বছর ধরে কলকাতার সাইতে অনুশীলন করলেও তিরন্দাজির ভাল সরঞ্জাম না থাকায় অসুবিধা হত। শেষে জেলা প্রশাসনের কাছে উন্নত মানের সরঞ্জাম চেয়ে আবেদন জানান মনিকা। সাড়া মিলতে দেরি হয়নি।

Advertisement

গত বছর কন্যাশ্রী দিবসে কলকাতার নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনিকার হাতে উন্নত প্রযুক্তির তিরন্দাজি সরঞ্জাম তুলে দেন। আর তারপরই চিনে লক্ষ্যভেদ মনিকার।

চিনের এই প্রতিযোগিতায় মেয়েদের বিভাগে ভারতের মোট চারজন প্রতিযোগী ছিলেন। মনিকা ছাড়া ঝাড়খণ্ডের অঙ্কিতা ভগত, অসমের প্রমীলা দাইমারি ও পাঞ্জাবের মধু বেদওয়া। এই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারতের ছেলেরা। দলে ছিলেন বিনোদ স্বামী, জগদীশ চৌধুরী, ইন্দ্রচাঁদ স্বামী ও অতুল ভর্মা।

মনিকার সাফল্যে খুশি পশ্চিমবঙ্গ আর্চারি অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক রূপেশ কর। তিনি বলেন, ‘‘মনিকা দেশের, বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বাংলায় প্রতিভার অভাব নেই। দরকার শুধু পরিকাঠামো।” তাঁর আক্ষেপ, সরকার যে ভাবে ক্রিকেট, ফুটবলে নজর দিচ্ছেন, সে ভাবে তিরন্দাজদের সাহায্য করলে সাফল্যের হার আরও বাড়ত। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘মনিকা আমাদের জেলার গর্ব। ওঁর সাফল্যে আমরা খুশি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন