জবাব: সব সমালোচনার বিরুদ্ধে কথা বলছে ধোনির ব্যাট। ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটা মনে থাকবে বিরাট কোহালির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য। এই ম্যাচেই আবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির তিনশো ওয়ান ডে খেলা হয়ে গেল।
বিরাটের ইনিংসটার কথায় আসি। ভারত অধিনায়কের এটা ২৯তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি ছিল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে ও যে ভাবে পুরো ইনিংসটায় বোলারদের শাসন করে গেল। গোটা ইনিংসে একটুও ঢিলে দেয়নি বিরাট। অনেকে হয়তো শ্রীলঙ্কার দুর্বল বোলিংয়ের দিকে আঙুল তুলবেন, কিন্তু একটা জিনিস সবার মনে রাখা দরকার। বড় রান, বিশেষ করে সেঞ্চুরি করাটা কিন্তু কখনওই মুখের কথা নয়। বিরাট খুব সহজেই কাজটা করে দেখাল। বিরাটের মানসিকতা আর টেকনিক খুবই ভাল। এর সঙ্গে যোগ করুন ওর পরিশ্রম করার ক্ষমতা আর সাফল্যের খিদে। সব মিলিয়ে একটা বিপজ্জনক মিশ্রণ। এই টিমটাকে নিয়ে বিরাট কিন্তু ভারতীয়দের মনে আশা জাগিয়ে তুলছে।
একটা অসাধারণ কৃতিত্বের মালিক হওয়ার জন্য এমএসডি-কে অভিনন্দন। ৩০০ ম্যাচ কিন্তু কম নয়। এক জনের দক্ষতা আর প্রতিভা বিচার করার পক্ষে যথেষ্ট। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই ধোনিকে পরীক্ষার মুখে ফেলা হয়েছিল। এই ধরনের কোনও খেলোয়াড়কে কিন্তু কখনই পরীক্ষার মুখে ফেলা উচিত নয়। এটা মনে রাখতে হবে, যতই চাপের মধ্যে থাকুক না কেন, ওর অভিজ্ঞতার জোরেই ধোনি এই ধরনের টিমের বিরুদ্ধে সফল হবে। এবং ঠিক সেটাই হল।
যারা দেশের জন্য এত দিন ধরে এত কিছু করে এসেছে, তাদের দুম করে এক দিন সকালে উঠে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা যায় না। কারণ এরা বার বার সবাইকে ভুল প্রমাণ করবে। তবে ধোনির আসল চ্যালেঞ্জটা হবে যখন ও ভাল দলগুলোর বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। আশা করব, তখন নিজের পারফরম্যান্সকে ও অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
এ বার রোহিতের কথাও বলতে হবে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ও আরও একটা সেঞ্চুরি করে ফেলল। এই ফর্ম্যাটে ও সত্যিই দুরন্ত। নির্বাচকেরা যে রোহিতের ওপর আস্থা রেখে ভুল করেননি, তা ও আরও একবার বুঝিয়ে দিল।
আজ, রবিবার শেষ ওয়ান ডে। মনে হয় না শ্রীলঙ্কার দুর্ভোগ কমবে বলে। আমি সাধারণত ভবিষ্যদ্বাণী করি না। কিন্তু এ বার মনে হচ্ছে বৃষ্টি না হলে ৫-০ হতে চলেছে।