বছর তেরোর তনিষ্ক গাভাতে এখন আপাতত খবরের শিরোনামে।
দু’দিন ব্যাপী স্থানীয় ম্যাচে ব্যাটসম্যান ৫১৫ বল খেলে অপরাজিত ১,০৪৫ রানে! লম্বা ইনিংসে সে মেরেছে ৬৭ টি ছয় আর ১৪৯ টি চার!
অবিশ্বাস্য লাগলেও এই ক্রিকেট ম্যাচটি হয়েছে নবি মুম্বইয়ের পার্শ্ববর্তী কোপার কাহিরানে এলাকায়। অনূর্ধ্ব-১৪ নবি মুম্বই শিল্ড আমন্ত্রণী স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। আর সোম ও মঙ্গলবার—দু’দিন ধরে ব্যাট হাতে এই সাড়া জাগানো ইনিংসটি যে খেলেছে সেই তনিষ্ক গাভাতের বয়স তেরো। এই খুদে ব্যাটসম্যানই আপাতত খবরের শিরোনামে। মজার ব্যাপার, সেমিফাইনাল ম্যাচে তনিষ্কের প্রতিপক্ষ ছিল যে স্কুলে সে পড়াশোনা করে সেই যশোবন্তরাও চহ্বণ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। ম্যাচটাও হয়েছে তনিষ্কের স্কুলের মাঠেই। যে মাঠের লেগের দিকে বাউন্ডারি উইকেট থেকে ৬০-৬৫ গজ দূরে। আর অফের দিকের বাউন্ডারি ৫০ গজ দূরে। তনিষ্ক খেলতে নেমেছিল, তার কোচের অ্যাকাডেমি যশোবন্তরাও চহ্বণ একাদশের হয়ে। টুর্নামেন্টের আয়োজকও এই অ্যাকাডেমি।
তনিষ্কের এই বড় রান মনে করিয়ে দিচ্ছে, বছর কয়েক আগে করা প্রণব ধনওয়াড়ের ১০০৯ রানের কৃতিত্বকে। প্রণব যে ইনিংস খেলেছিলেন আন্তঃস্কুল ভান্ডারি কাপে। যা স্কুল ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড। প্রণব ভেঙে দিয়েছিলেন ১৮৯৯ সালে করা আর্থার কলিন্সের ৬২৮ রানের রেকর্ডকে।
সেই হিসেবে তনিষ্কের রানও নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। যে টুর্নামেন্টে এই রান সে করেছে, তা মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃত টুর্নামেন্ট নয়। ফলে তা বিশ্ব রেকর্ডের মর্য়াদা পায়নি।
আরও পড়ুন: পৃথ্বীদের জন্য আর্থিক পুরস্কার বিসিসিআই-এর
ছাত্রের সাফল্য জানাতে গিয়ে তনিষ্কের কোচ মণীশ (পদবী জানাননি) বলেন, ‘‘আগে এক কিংবা দু’নম্বরে ব্যাট করত তনিষ্ক। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমাকে এসে বলে ওপেন করতে চায়। তার পরে কিছুদিন নতুন বলের বিরুদ্ধে নেটে ওকে দেখার পরেই ঠিক করি এ বার ওকে দিয়েই ওপেন করাব।’’
ব্যাট হাতে বড় রান করার রেকর্ড অতীতে দেখিয়েছে তনিষ্ক। এর আগে একটি ম্যাচে ৩১৬ রানে অপরাজিত ছিল সে। আর এ বার অপরাজিত ১,০৪৫ রানের মালিক হয়ে তনিষ্ক বলছে, ‘‘বড় ইনিংস খেলতে চাই বলেই কোচকে বলেছিলাম ওপেন করতে চাই। এ ভাবেই খেলে যেতে চাই আগামী দিনে।’’