শ্রীনি-অনুগতদের বৈঠকে উপস্থিতির হার নগণ্য

সিএবি-তে জগমোহন ডালমিয়ার উত্তরসূরি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও ভারতীয় বোর্ডে তাঁর উত্তরসূরি কে হতে চলেছেন, সেই ছবিটা এখনও বেশ অস্পষ্ট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১৪
Share:

সিএবি-তে জগমোহন ডালমিয়ার উত্তরসূরি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও ভারতীয় বোর্ডে তাঁর উত্তরসূরি কে হতে চলেছেন, সেই ছবিটা এখনও বেশ অস্পষ্ট।

Advertisement

ডালমিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে আইসিসি চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন ভারতীয় ক্রিকেট সাম্রাজ্যে ফের থাবা বসানোর চেষ্টা শুরু করলেও বোর্ড রাজনীতিতে নিজের অবস্থান পরখ করার সভায় উপস্থিতির হার দেখে আদৌ আশাবাদী হতে পারবেন? বোধহয় না।

জানা গেল, বৃহস্পতিবার রাতে বেঙ্গালুরুর ওই সভায় নাকি সাকুল্যে ছ’টি রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি ছিলেন। যাঁদের সমর্থনে বোর্ডে ডালমিয়ার উত্তরসূরি নির্বাচিত হতে চলেছে, সেই পূর্বাঞ্চল থেকে একটি মাত্র রাজ্য সংস্থার কর্তা শ্রীনির প্রতি আনুগত্য দেখাতে গিয়েছিলেন বলে খবর। যা শুনে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতিতে শ্রীনি আনুগত্যের হঠাৎ আকাল দেখা দিয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাতে নাগপুরে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও ক্রিকেট রাজনীতিতে তাঁর শত্রু বলে পরিচিত শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শ্রীনি। সেই বৈঠক থেকে তাঁর খুশি হওয়ার মতো কিছু বেরিয়ে আসেনি বলেই জানা গেল। বরং পওয়ার তো বলেই দিলেন, ‘‘বিসিসিআই বোর্ড প্রেসিডেন্টের দৌড়ে শ্রীনি যে নেই, তা জানাতেই আমার কাছে এসেছিল।’’ পওয়ার আরও বলেছেন, ‘‘বোর্ডের পরিবেশ ও অবস্থা দেখে ওর মনে হয়েছে এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে তাতে তিক্ততা আরও বাড়বে। তাই ও নির্বাচন চায় না।’’

দু’ঘণ্টার বৈঠকে দুই হেভিওয়েট বুঝতে পারেন একক ভাবে লড়ে বোর্ডে কেউই জিততে পারবেন না। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর বৈঠকে তা আরও ভাল ভাবে বুঝে নিলেন শ্রীনি। যেখানে পূর্বাঞ্চলের ছ’টির মধ্যে মাত্র একটি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। ওড়িশার প্রতিনিধি এই সভায় নাকি ছিলেন। তবে সংস্থার সচিব আশীর্বাদ বেহরা যাননি। তিনি কটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক নিয়ে ব্যস্ত। পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান রঞ্জীব বিসওয়ালকে। ঝাড়খন্ডের অমিতাভ চৌধুরীও সভায় যাননি। পূর্বাঞ্চল থেকে আপাতত যাঁর নাম প্রেসি়ডেন্ট হিসেবে প্রস্তাব করা হতে পারে বলে খবর, সেই অমিতাভ এ দিন সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় রয়েছি। কোথাও কোনও গ্রুপ যদি মিটিং করে করুক।’’ ডালমিয়ার বন্ধুর ক্লাব বলে পরিচিত ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের সচিব কেপি কাজারিয়া বেশ অসুস্থ। তা ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যেই ক্লাবে তাঁর বিরোধীরা আদালতে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বোর্ডে ত্রিপুরার প্রতিনিধি সৌরভ দাশগুপ্ত, যিনি অনুরাগ ঠাকুরের অনুগত বলে ক্রিকেট মহলে পরিচিত, তাঁকেও এই বৈঠকে দেখা যায়নি। কর্নাটকের ব্রিজেশ পটেল, কেরলের টি সি ম্যাথিউরা অবশ্য ছিলেন। তবে বৈঠকে থাকা এক কর্তা জানালেন, ছয়ের বেশি প্রতিনিধি শ্রীনির ডাকা এই বৈঠকে ছিলেন না।

অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে অনুরাগ ঠাকুর রাজীব শুক্লকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামাতে চাইলেও নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা তাঁর পক্ষে নেই। বুধবার বোর্ড সচিবও তাঁর অনুগতদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যা অবস্থা, তাতে কোনও দুই বা তিন হেভিওয়েট কর্তা জোট না বাঁধলে কারও একার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা কম।

ডালমিয়ার মৃত্যুর পরে পনেরো দিনের মধ্যে স্পেশ্যাল জেনারেল মিটিং ডেকে নতুন প্রেসিডেন্ট বাছতে হবে। কিন্তু ডালমিয়ার উত্তরসূরি কে হবেন, সেই ছবিটা এখনও স্পষ্ট নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন