বহু চেষ্টা চালিয়েও এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল সোনি-ডিকাদের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ম্যাচ শেষ হতেই হনহন করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা লাগালেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। হঠাৎ করে দৃশ্যটা দেখলে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য এমন কী হল যে গোমড়া মুখে ড্রেসিংরুমের আশ্রয় নিতে হল। সঞ্জয়ের এই ব্যবহারের আগের ৯০ মিনিট যদি কেউ দেখে থাকেন তা হলে কারণটা নিঃসন্দেহে পরিষ্কার হয়ে যাবে তাঁর কাছে।
খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মোহনবাগানের। শিলং লাজং এফসি-র পর এ বার আনকোরা নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল সঞ্জয় সেনের দল।
লাজং ম্যাচ ড্র করায় এ দিন শুরু থেকেই অল আউট আক্রমণ করতে দেখা যায় মোহনবাগানকে। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পুরো পয়েন্ট পেতে সঞ্জয় সেন কতটা মরিয়া ছিল তা এ দিনের টিম লিস্টের দিকে নজর রাখলেই বোঝা যাবে। চোট পাওয়া সনি নর্দে এবং আনসুমানা ক্রোমাকে এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই খেলান সঞ্জয়। কিন্তু তাতেও বহু প্রতিক্ষিত গোলের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিতই থাকতে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে।
আরও পড়ুন: এক ঝলকই দেখা গেল জাডেজার ক্রিকেট বাংলোর
আরও পড়ুন: গোলের খোঁজে নর্থ-ইস্ট, জিততে মরিয়া মুম্বই সিটি
এর মধ্যেই ম্যাচের ৫০ মিনিটে ক্রোমার পাস থেকে গোল করে যান হাইতিয়ান ম্যাজিশিয়ান সনি নর্দে। কিন্তু সনির করা গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে। এর পরও বহু সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। তবে কোনওটাই কাজে লাগাতে পারেননি শিল্টন ডি’সিলভা-আনসুমানা ক্রোমারা। নবাগত নেরোকা এফসিও চোখে পড়ার মত ফুটবল খেলে হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
দলকে জয়ের রাস্তায় ফেরাতে পারলেন না বাগান অধিনায়ক সনি নর্দে।
সুভাষ সিংহ, গোভিন সিংহ, সরণ সিংহদের মতো ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত মুখেরা ছিলেন মনিপুরের এই দলে। এ দিনের ম্যাচ ড্রয়ের পর বাগান কোচ সঞ্জয় সেনের তিনটি পরিবর্তন নিয়েই প্রশ্ন রয়ে যাবে।
মোহনবাগান এ দিন প্রথম পরিবর্তন নেয় ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। শিল্টন ডি’সিলভার পরিবর্তে নামানো হয় সৌরভ দাসকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে সনি নর্দের পরিবর্তে মাঠে নামেন আজহারউদ্দিন মল্লিক এবং নির্ধারিত সময় শেষের ঠিক এক মিনিট আগে শেষ পরিবর্তনটি নেন সঞ্জয়। ক্রোমার বদলে মাঠে নামেন নিখিল কদম। আর প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে এই তিনটি পরিবর্তনের সময় নিয়েই। প্রথম একাদশ যখন ম্যাচের ৭০মিনিট পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ তখন পরিবর্তনগুলি কেন আরও আগে নিলেন না সনিদের হেডস্যার?
এ দিন ড্রয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার ৩ নম্বরেই রইল মোহনবাগান।