পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেমফিস দেপাই।—ছবি রয়টার্স।
নেশনস লিগের নক-আউট পযার্য়ে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল নেদারল্যান্ডসের। শুক্রবার রটারডামে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সকে ২-০ হারিয়ে বড় অঘটন ঘটালেন গত বিশ্বকাপে যোগ্যতাই অর্জন করতে না পারা ডাচেরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মুখে নেদারল্যান্ডসের জর্জিনিয়ো ওয়াইনালডাম ১-০ করেন। দ্বিতীয় গোল সংযুক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে করেন মেমফিস দেপাই।
রাশিয়া বিশ্বকাপের পরে এই প্রথম কোনও ম্যাচে হারল বিশ্বজয়ী ফ্রান্স। এবং শেষ পনেরো ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন দিদিয়ে দেশঁর ফুটবলারেরা। এই ম্যাচের ফলে জার্মানি নেমে গেল গ্রুপ বি-তে। এখন যা অবস্থা, শেষ ম্যাচে জার্মানির সঙ্গে ড্র করলেও নেদারল্যান্ডস নক-আউট পর্যায়ে চলে যাবে।
ফ্রান্সকে হারিয়ে উল্লসিত ডাচ কোচ রোনাল্ড কোম্যান বললেন, ‘‘দল এতটা ভাল খেলবে নিজেও ভাবিনি। আমরা নিখুঁত ফুটবল খেলেছি। ৯০ মিনিট ধরেই ম্যাচে আমাদের ছেলেরা চালকের আসনে ছিল।’’ কোম্যান কোচ হওয়ার পরে ভাল খেলতে শুরু করেছে নেদারল্যান্ডস। শুক্রবার ফ্রান্সের হুগো লরিস অসাধারণ কিছু ‘সেভ’ না করলে বড় ব্যবধানে দিততে পারত তারা।
সারা ম্যাচে এক বার মাত্র গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফ্রান্স। কিন্তু খেলার ১০ মিনিটে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের দুর্বল হেডের জন্য সেই সুযোগ নষ্ট হয়। কিলিয়ান এমবাপে এই ম্যাচে খেললেও তাঁকে কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি। হতাশ ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের যা ক্ষমতা, তার কিছুই ছেলেরা খেলতে পারেনি। সত্যি কথাটা হচ্ছে, ওদের আরও বেশি গোলে জেতার কথা ছিল। কেন এত খারাপ খেললাম আমরা, তা দলের প্রত্যেককে ভেবে দেখতে হবে। আপাতত আমাদের একটাই প্রার্থনা। জার্মানি যেন নেদারল্যান্ডসকে হারায়। তা হলে আমাদের নক-আউটে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে।’’
লরিসের মতোই হতাশ ফ্রান্সের কোচ দেশঁ। বলেছেন, ‘‘আজ আমার কিন্তু মনে হল মাঠে একটা দলই খেলল। আমার ছেলেদের ভাল কিছু করার ইচ্ছেই ছিল না। যোগ্য দল হিসেবেই ওরা জিতেছে। তা ছাড়া আমি তো আগেই বলেছিলাম যে, কোম্যানের কোচিংয়ে দারুণ ভাবে উঠে আসছে নেদারল্যান্ডস। আজ সেই কথাটাই কিন্তু সত্যি
প্রমাণিত হল।’’