চেন্নাই সুপারকিংগসে পবন নেগির সঙ্গে ধোনি।
তাঁরই মতো ছোট শহর থেকেই উঠে আসা। তাঁকেই আদর্শ করে স্বপ্ন দেখা শুরু। এবং এখন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তাঁর দেওয়া মন্ত্রেই নিজেকে তৈরি করা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর নাম থাকবে এটা অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু সেই চমকটাই নির্বাচকেরা এ দিন দিলেন এই বাঁ হাতি স্পিনারকে দলে রেখে। আর সুযোগ পাওয়ার পর পবন নেগি সবার আগে যাঁকে ধন্যবাদ দিতে চান, তাঁর নাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
রঞ্জিতে দিল্লির হয়ে খেলেন এই বাঁ হাতি স্পিনার। টাইট বোলিং করার পাশাপাশি মারকুটে ব্যাটিংটাও করেন। আইপিএল শুরু করেছিলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। এর পর ধোনির চোখে পড়ে যাওয়ায় চলে আসেন চেন্নাই সুপারকিংগসে। যেখানে ধোনি তাঁকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি আর কী পেয়েছেন ধোনির থেকে? সোমবার মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত শোনাল দিল্লির বাঁ হাতি স্পিনারকে, ‘‘ধোনি স্যার আমাকে অনেক কিছু বলেছেন। অনেক টিপস দিয়েছেন। ধোনি স্যারের মতো আমিও ছোট শহর থেকেই উঠে এসেছি। চাই ধোনির মতোই নিজের সেরাটা দিয়ে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করে নিতে।’’
চেন্নাই সুপারকিংগসে একসঙ্গে খেলার সময় আপনাকে ঠিক কী টিপস দিয়েছেন ধোনি?
তেইশ বছরের নেগির কথা থেকে উঠে আসছে ধোনির তিনটে বিশেষ প্রেসক্রিপশন।
এক, ভাল বোলার হতে গেলে নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যান তোমাকে মারবেই। তখন যদি ভয় পেয়ে যাও, নিজের উপর থেকে বিশ্বাসটা হারাও, তা হলে কিন্তু ঝামেলায় পড়ে যাবে। নিজের উপর আস্থা রাখাটা এ সব ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি।
দুই, ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাটা ভাল করে বুঝে নাও। তার পর নেটে একটা প্ল্যান করে সেই দুর্বলতা অনুযায়ী বল করো। আর ম্যাচে নেমে ব্যাটসম্যানদের সেই দুর্বলতাগুলো কাজে লাগাও।
তিন, তুমি যে সময় ব্যাট করতে নামো (সাধারণত সাত-আট নম্বরে) তখন হাতে বেশিরভাগ সময় দু’ওভারের বেশি পাবে না। ওই সময় তোমাকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। একদম গুটিয়ে যাবে না। খোলা মনে মারবে।
নেগি বলছিলেন, ‘‘ধোনি যা বলেছেন, তা মাথায় রেখেই মাঠে নামব। দেখা যাক আমি সুযোগ পাই কি না! আর পেলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে আমি প্রস্তুত।’’
দিল্লির সাদিক নগরের সরকারি ফ্ল্যাটে থাকেন পবন। খেলেন গৌতম গম্ভীরের কোচ সঞ্জয় ভরদ্বাজের ক্লাবে। সেখানে গম্ভীর এবং উন্মুক্ত চন্দের মতো প্লেয়ারদের সঙ্গে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যা নিয়ে পবন বলছিলেন, ‘‘ওদের কাছ থেকেও আমি অনেক কিছু শিখেছি।” আর নেগির কোচ সঞ্জয় বলে রাখছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে ওকে সুযোগ দেওয়া হল বটে, তবে ওর মধ্যে আরও মশলা আছে। পবন কিন্তু লম্বা রেসের ঘোড়া।’’