লাল কার্ড দেখছেন নেইমার। ছবি:
২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে মাতেরাজ্জিকে জিদানের ‘হেডবাট’ আবার মনে করালেন নেইমার জুনিয়ার। হেডবাট করে লাল কার্ড দেখলেন তিনি।
আরও পড়ুন
এমনিতে কম টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি ব্রাজিল স্ট্রাইকারকে। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যেতে পেড়তে হয়েছে অনেক বাঁধা। তার মধ্যেও তিনি সই করেছেন পিএসজিতে। কিন্তু যে নেইমারকে ঘিরে পিএসজি তোলপাড় সেই কী না দেখে বসলেন লাল কার্ড। তার আগে অবশ্য গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন নেইমার। সেটা ৩৩ মিনিট। আর ৮৫ ও ৮৭ মিনিটে পর পর হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল এই তারকা ফুটবলারকে। এর মধ্যে সমর্থক-পুলিশ বচসায় সরগরম হয়ে ওঠে লিগ ওয়ানের এই ম্যাচের পরিবেশ।
মার্সেইলের হয়ে গোলের মুখ খোলেন লুইস গুস্তাভো। তাঁর দুরপাল্লার শট ১৬ মিনিটে পিএসজির জালে জড়িয়ে যাওয়ার পর ৩৩ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ১০ গোল ইতিমধ্যেই নিজের নামে লিখে নিয়েছেন ব্রাজিল স্টার। কিন্তু অকারণে ধাক্কাধাক্কি করে লাল কার্ড দেখাটা খুব একটা ভাল চোখে দেখেননি পিএসজি কোচ। প্রথমে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখার দু’মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষের আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকার লুকাস ওকাম্পোসকে মাথা দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন নেইমার। তার আগেই অবশ্য ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল পিএসজি। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে মানরক্ষা করলেন এডিনসন কাভানি। লাল কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ বলেন, ‘‘আমরা একটু হলেও হতাশ নেইমারের লাল কার্ডের জন্য। কারণ ওকে পুরো ম্যাচে বার বার ফাউল করা হয়েছে। আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব গ্রেট প্লেয়ারদের আগলে রাখা।’’