ছবি: সংগৃহীত।
রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেননি নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র), এদিনসন কাভানি-রা। ১-৩ হারের লজ্জা নিয়ে সান্তিয়াগো বের্নাবাউ ছেড়েছিলেন তাঁরা।
৬ মার্চ ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে রিয়ালকে হারিয়ে বদলা নিতে মরিয়া নেমার-রা। তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে আসরে নেমে পড়লেন পিএসজি সমর্থকরাও! বৃহস্পতিবার অনুশীলনে হাজির হন ‘পিএসজি আল্ট্রাস’-এর সদস্যরা। ফুটবলারদের ‘পেপ টক’ দেন তাঁরা! ‘পিএসজি আল্ট্রাস’-এর প্রধান বলেছেন, ‘‘আমরা সবাইকে ম্যাচের দিন একটু তাড়াতাড়ি স্টেডিয়ামে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনুরোধ করছি, ফুটবলারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রত্যেকেই যেন ক্লাবের পতাকা ও স্কার্ফ সঙ্গে নিয়ে আসেন।’’
সমর্থকদের উৎসাহ ফুটবলারদের কতটা উজ্জীবিত করেছে, তা সময়ই বলবে। তবে প্রধান তারকা নেমার রিয়ালের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে খুব একটা স্বস্তিতে নেই! পিএসজি-তে সই করার পরে ব্রাজিলীয় তারকা অভিযোগ করেছিলেন, বার্সেলোনা ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০৯ কোটি) বোনাস দেয়নি তাঁর বাবাকে। বার্সেলোনার তরফে দাবি করা হয়, চুক্তিভঙ্গ করার জন্যই নেমারের বাবাকে বোনাস দেওয়া হবে না। বার্সেলোনার তরফে জোসেপ ভিভিস বলেছিলেন, ‘‘বোনাস হওয়ার এক মাস আগে কোনও ফুটবলার ক্লাব ছাড়া নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। নেমার সেই চুক্তি ভেঙেছেন। তাই বোনাস দেওয়া হেব না।’’ বকেয়া আদায়ের জন্য বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফার দ্বারস্থও হন নেমার। শুক্রবার অবশ্য ফিফার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ফিফা-র এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নেমারের অভিযোগের ভিত্তিতে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ফিফা কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কারণ, ইতিমধ্যেই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’’