বোর্ডের বার্ষিক সভা ২১ সেপ্টেম্বর

আদালত বনাম বোর্ড যুদ্ধ চলছেই

ভারতীয় বোর্ড বনাম আদালত যুদ্ধ থামাথামির তো ব্যাপারই নেই, বরং যত সময় যাচ্ছে তার উত্তেজনা যেন বাড়ছে। সোমবার নয়াদিল্লিতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিল বোর্ড। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লোঢা কমিশন যা-ই বলুক, বোর্ড বার্ষিক সাধারণ সভা করবে পুরনো সংবিধান মেনেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৩০
Share:

ভারতীয় বোর্ড বনাম আদালত যুদ্ধ থামাথামির তো ব্যাপারই নেই, বরং যত সময় যাচ্ছে তার উত্তেজনা যেন বাড়ছে।

Advertisement

সোমবার নয়াদিল্লিতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিল বোর্ড। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লোঢা কমিশন যা-ই বলুক, বোর্ড বার্ষিক সাধারণ সভা করবে পুরনো সংবিধান মেনেই। ২১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে। বৈঠক শেষে বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর বলেও দেন, ‘‘আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সভা হচ্ছে।’’ লোঢা কমিশন থেকে যার পাল্টা হিসেবে বলে দেওয়া হল যে, বোর্ড কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কিছু করলে তা গ্রাহ্য করা হবে না। কমিশনের অনুমোদন না নিয়ে যদি শেষ পর্যন্ত বার্ষিক সভা করে বোর্ড, তা আপনাআপনি বাতিল হয়ে যাবে!

কমিশন নির্দেশিকা উপেক্ষা করে বোর্ডের বার্ষিক সভার দিন ঠিক করে ফেলা দেখে বলাবলি শুরু হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আরও খোলাখুলি আক্রমণের পথে চলে গেল বোর্ড। চলতি মাসেই বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে লোঢা কমিশন সংস্কারের নির্দেশিকা ধরিয়েছিল। পনেরো দফা সংস্কার ১৫ অক্টোবরের মধ্যে করতে হবে, বলে দিয়েছিল। সঙ্গে এটাও বলে দিয়েছিল যে, সংস্কারের প্রথম ট্রেলার দেখাতে হবে ২৫ অগস্ট। এর কয়েক দিনের মধ্যে বোর্ড রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশনের রাস্তায় যায়। এ দিনের নতুন ‘বিদ্রোহ’ দেখে কারও কারও মনে হচ্ছে, রিভিউ পিটিশনের ফলাফল জানা না পর্যন্ত সংস্কারে হয়তো হাত দেওয়াও হবে না।

Advertisement

সন্ধেয় যা শুনে লোঢা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত একজন উত্তেজিত ভাবে ফোনে বললেন, বোর্ড যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে অধিকার দেয়নি বোর্ডকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে আটকাতে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের অনুমোদন নিয়ে হচ্ছে কী না, তা দেখার অধিকার অবশ্যই দিয়েছে। বলা হল, আগে ইলেকটোরাল অফিসার বসিয়ে রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন করতে হবে। সেখানে পদাধিকারীরা ঠিক হয়ে গেলে, তবে বোর্ডের নির্বাচন। সেটা না করে বোর্ড যদি নিজের ইচ্ছে মতো নির্বাচন করে, বার্ষিক সভা ডাকে, লাভ হবে না। আপনাআপনি সেটা বাতিল হয়ে যাবে। নতুন করে বার্ষিক সভা তখন ডাকতে হবে। বলা হচ্ছে, রিভিউ পিটিশন গ্রাহ্য হয়ে যদি রায়ের উপর স্থগিতাদেশ পায় বোর্ড, অসুবিধে নেই। কিন্তু যত দিন সেটা না হচ্ছে, কমিশনের নির্দেশ মতোই চলতে হবে বোর্ডকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন