রান পেলেন না পৃথ্বী

রঞ্জি ফাইনালের যুদ্ধে এগিয়ে নেই কেউই

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে ভূমিকম্পের দিনে রঞ্জি ট্রফির দুটো সেমিফাইনালও নাটকীয় ওঠানামার সাক্ষী হয়ে থাকল। রাজকোটে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংস ভাল শুরু করেও দিনের শেষে পরপর তিনটে উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তামিলনাড়ুর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিল। আর নাগপুরে গুজরাতের রান-বিস্ফোরণ আটকেও অর্ধেক উইকেট হারাল ঝাড়খণ্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৪
Share:

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে ভূমিকম্পের দিনে রঞ্জি ট্রফির দুটো সেমিফাইনালও নাটকীয় ওঠানামার সাক্ষী হয়ে থাকল। রাজকোটে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংস ভাল শুরু করেও দিনের শেষে পরপর তিনটে উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তামিলনাড়ুর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিল। আর নাগপুরে গুজরাতের রান-বিস্ফোরণ আটকেও অর্ধেক উইকেট হারাল ঝাড়খণ্ড।

Advertisement

মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (৭৩)। তাঁর সৌজন্যেই প্রথম ইনিংসে ভাল জায়গায় যাচ্ছিল মুম্বই। কিন্তু মাত্র তিন রানে তিন উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে তারা ১৭১-৪। তামিলনাড়ুর প্রথম ইনিংস স্কোরের চেয়ে ১৩৪ রান পিছিয়ে। তার আগে তামিলনাড়ুকে তারা ৩০৫ রানে শেষ করে দেয়। মুম্বইয়ের সবচেয়ে সফল দুই বোলার শার্দূল ঠাকুর (৪-৭৫) ও অভিষেক নায়ার (৪-৬৬)। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক আদিত্য তারে (১৯) এবং শ্রেয়স আইয়ার (২৪)। সেমিফাইনালে রঞ্জি অভিষেক ঘটানো পৃথ্বী শ অবশ্য ব্যর্থ। প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রান করে তিনি ফিরে যান।

তার পর দ্বিতীয় উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন সূর্যকুমার এবং আর এক ওপেনার প্রফুল্ল ওয়াঘেলা (৪৮)। তার পর দ্রুত তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে ফের হাল ধরে ৪৩ রান যোগ করেন তারে এবং আইয়ার।

Advertisement

নাগপুরে আবার ২৮৩-৩ স্কোরে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ভাল অবস্থায় ছিল গুজরাত। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বল হাতে আক্রমণের রাস্তায় গিয়ে তাদের ৩৯০ রানে শেষ করে দেয় ঝাড়খণ্ড। সর্বোচ্চ প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের ১৪৯। দুই পেসার অজয় যাদব (৩-৬৭) এবং রাহুল শুক্ল (৩-৭১) উইকেট ভাগ করে নেন।

কিন্তু তাতেও দিনের শেষে দারুণ এগিয়ে নেই ঝাড়খণ্ড। তাদের স্কোর ২১৪-৫। যার নেপথ্যে রয়েছে রুদ্রপ্রতাপ সিংহের তিন উইকেট। সাত ওভারের দুর্দান্ত একটা স্পেলে ঝাড়খণ্ডের দুই ওপেনার প্রত্যুষ সিংহ (২৭) এবং সুমিত কুমারকে (২) ফিরিয়ে দেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার। দিনের শেষ উইকেটটাও তাঁর এবং গুজরাতের নজরে হয়তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া ঈষান কিষাণকে ৬১ রানে আউট করে দেন রুদ্রপ্রতাপ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: তামিলনাড়ু ৩০৫ (বাবা ইন্দ্রজিৎ ৬৪, শার্দূল ৪-৭৫, নায়ার ৪-৬৬), মুম্বই ১৭১-৪ (সূর্যকুমার ৭৩)। গুজরাত ৩৯০ (প্রিয়াঙ্ক ১৪৯, পার্থিব ৬২, অজয় ৩-৬৭), ঝাড়খণ্ড ২১৪-৫ (ঈষান ৬১, রুদ্রপ্রতাপ ৩-৪৮)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement