প্রশ্ন: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার অনুভূতিটা কী রকম ছিল?
রোনাল্ডো: এক কথায় দুর্দান্ত! আবার সেই আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ফাইনাল। আটলেটিকোও দারুণ দল। ওরা যোগ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার। কিন্তু আমরা সেই রাতে বেশি ভাল খেলেছিলাম। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। পেনাল্টি মানেই লটারি। কঠিন মরসুম শেষে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। আর আমরা সফল হয়েছি সেই বাধা টপকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হতে।
প্র: জানুয়ারির পর কোচ হয়ে আসা জিনেদিন জিদানের কতটা ভূমিকা ছিল এই জয়ের পিছনে?
রোনাল্ডো: জিদানই আসল কারিগর। ওর পেশাদারিত্বের কোনও জবাব নেই। মানুষ হিসেবেও জিদান খুব বড়মাপের। ওর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে ফুটবলারদের উত্তেজিত হতে দেয় না। সেটাই আমাদের দরকার ছিল। জিদান আসার পরে আমরা শূন্য থেকে একশোয় পৌঁছেছি। বার্সেলোনার থেকে ১২ পয়েন্ট দূরে থাকলেও শেষে আমরা এক পয়েন্ট পিছনে ছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি। সবের পিছনে জিদানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্র: এ বার আসা যাক ইউরো প্রসঙ্গে। পর্তুগাল ইতিহাস তৈরি করল টুর্নামেন্ট জিতে। অভিজ্ঞতা কী রকম ছিল?
রোনাল্ডো: সত্যি বলতে আমি ভাবিনি পর্তুগাল ইউরো জিতবে। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে ভেবেছিলাম আমরা গ্রুপ টপকাব। তারপর গ্রুপ টপকে দেখলাম কোয়ার্টারে পৌছেছি। সেখান থেকে আমরা যা পেয়েছি সবই বোনাস। তারপর আস্তে আস্তে বিশ্বাসটা আসে আমরাও পারব। সবশেষে যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
প্র: আপনার সতীর্থ পেপের সম্বন্ধে কী বলবেন? ওর মধ্যে কী গুণ আছে? ড্রেসিংরুমে ওর প্রভাবটা কী?
রোনাল্ডো: আমার মনে হয়ে এই বছর পেপে অবিশ্বাস্য খেলেছে। আমার তো মনে হয় এটাই ওর সেরা মরসুম। পর্তুগালের তো সেরা প্লেয়ার ও ছিলই। রিয়ালের হয়েও দারুণ খেলেছে। যোগ্য প্লেয়ার হিসেবেই ইউরোর সেরা দলে জায়গা পেয়েছে। গ্রিজম্যান নয়, আমার মতে পেপেই ইউরোর সেরা প্লেয়ার ছিল।
প্র: এটা আপনার ১৪ নম্বর মরসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। আপনার কাছে এই টুর্নামেন্টের গুরুত্ব কতটা?
রোনাল্ডো: আমি গর্বিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পেরে। কোনও সন্দেহ নেই এটাই সবচেয়ে সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটাও আমার কাছে খুব সম্মানের। এই ট্রফিটা আবার জিততে চাই।