সোনার বুটে চুমু খাওয়ার দিনই গোল নেই। ছবি: এএফপি।
লিভারপুলকে হারালেও হাসি নেই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবারের ১-০ জয় ‘লস ব্লাঙ্কোস’দের নক আউট পর্বে পৌঁছে দিয়েছে। তার পরেও মন ভরছে না রিয়াল ভক্তদের। কেন? ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এই ম্যাচে গোল পাননি! চলতি মরসুমে ইতিমধ্যে ১৫ ম্যাচে ২২ গোলের নজির গড়ে ফেলা পর্তুগিজ মহাতারকা আর এক গোল করলেই গড়তেন মহারেকর্ড। রিয়ালের কিংবদন্তি রাউল গার্সিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার (৭১) রেকর্ড ছোঁয়ার সেই সুযোগ ঘরের মাঠেও কাজে লাগাতে পারলেন না সিআর সেভেন। তাও এমন একটা টিমের বিরুদ্ধে যারা চলতি মরসুমে গোল করার দিক থেকে একা রোনাল্ডোর থেকেই পিছিয়ে (সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে লিভারপুল এ বার গোল করেছে মাত্র ১৯টি)। তাও কেন ব্যর্থ হলেন রোনাল্ডো? লিভাপুলের কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের ট্যাকটিক্স? কারণ, এই ম্যাচে তিনি বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়ে প্রথম এগারোয় একগাদা বদল করেন। চলতি মরসুমে লিভারপুলের পরিচিত একাদশের সাত জনকে এই মহাম্যাচে বাদ দিয়েছিলেন রজার্স। যাঁদের মধ্যে এমনকী জেরার, স্টার্লিংয়ের মতো মেগাতারকাও ছিলেন।
ইংল্যান্ডের মিডিয়া কিন্তু রোনাল্ডোকে আটকে দেওয়ার জন্য পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছে একজনকেই। তিনি লিভারপুলের ডিফেন্ডার কোলো তোরে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিখ্যাত মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরের দাদাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বলা হচ্ছে রোনাল্ডোকে মঙ্গলবার রাতে কার্যত পকেটে পুরে রেখেছিলেন কোলো। তাই ১৩ ম্যাচ পর চলতি মরসুমে প্রথম কোনও ম্যাচের স্কোরলাইনে নাম নেই রিয়াল গোলমেশিনের। সান্তিয়াগো বের্নাবাওতে কোনও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।