ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের মাঠে টানা ১৩টা টেস্টের মধ্যে ১২টাতেই অপরাজিত। এই মুহূর্তে সব ক’টি টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধেই রাবার ভারতের দখলে। দেশের মাটিতে এই অবিশ্বাস্য ফর্ম এ বার বিদেশেও দেখতে চান সুনীল গাওস্কর। ধর্মশালায় সিরিজ জেতার পরেই গাওস্কর বলেন, ‘‘বিদেশের মাঠে জেতার তৃপ্তিটাই আলাদা।’’
সেই জয় খুব শিগগিরই আসতেই পারে বলে মনে করছেন ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে কুম্বলে বলেন, ‘‘আমাদের হাতে এখন যে রকম টিম আছে, আমাদের লোয়ার অর্ডার যে রকম খেলছে, তাতে অবশ্যই আমরা বিদেশে জিততে পারি। না জেতার কোনও কারণ নেই।’’
ভারতের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অন্যতম রূপকার যিনি, সেই আর অশ্বিনের হাতে মঙ্গলবাই তুলে দেওয়া স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার এবং আইসিসি-র বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার জন্য। ট্রফি হাতে নিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘‘আমার কাছে যেটা সবচেয়ে তৃপ্তির, সেটা হল, এই সময়টায় আমি দেশকে জেতাতেও সাহায্য করেছি। আমাদের দলটা দারুণ। সব রকম ফর্ম্যাটেই আমরা ভাল খেলছি।’’
আইসিসি-র সেরা হওয়ার জন্য অশ্বিন তাঁর সতীর্থদের পাশাপাশি ধন্যবাদ দিচ্ছেন তাঁর পরিবারকেও। বিশেষ করে তাঁর এক কাকার কথা, যিনি ধর্মশালা টেস্ট চলাকালীন মারা যান। ‘‘আমার ওই কাকার পরিবারও এত বছর ধরে আমার আমার পাশে ছিল। এই ম্যাচের সময় কাকা মারা যান,’’ বলেছেন অশ্বিন।
অশ্বিনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে কপিল দেব বলেন, ‘‘টেস্ট ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা যে ওর আছে, সেটা অশ্বিন আমাদের বার বার দেখিয়ে দিয়েছে। ভারতের এক নম্বর দল হওয়ার পিছনে অশ্বিনের খুব বড় অবদান।’’
ভারতের মাটিতেও যে তাঁদের চ্যালেঞ্জটা সহজ ছিল না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন কুম্বলে। বিরাট কোহালিদের কোচ বলেছেন, ‘‘আমরা ঘরের মাঠে অনেক নতুন কেন্দ্রে খেলেছি। নিজেরাও জানতাম না, পিচ কী রকম ব্যবহার করবে। আমাদের টিমের বড় একটা প্লাস পয়েন্ট হল, যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতা।’’ গাওস্করও মনে করছেন ভারত ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। বলেন, ‘‘অনিল কুম্বলের কোচিংয়ে ভারত ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। কারণ, কুম্বলের শুধু যে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা, তা নয়। ও খুব আগ্রাসী বোলারও ছিল। ফাস্ট বোলারদের মতোই আগ্রাসন ছিল ওর মধ্যে। এখন ভারতীয় বোলারদের মধ্যেও সেই আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে।’’
উমেশ যাদবের প্রশংসা করে গাওস্কর বলেন, ‘‘পুরো মরসুমটাই ওর দুর্দান্ত গেল। ১৩টার মধ্যে ১২টা টেস্টেই ও খেলেছে। আর এই এক ডজন টেস্টে ওর আগ্রাসন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’’