মোহনবাগানই শুধু পারে আমার স্বপ্নপূরণ করতে

তিন ম্যাচে চার গোল। এ বারের আই লিগে সোনার বুট জিততে এখনই মরিয়া। তিন বছর আগেও সেটা পেয়েছিলেন সালগাওকরে এসেই। বেঙ্গালুরুর সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে। বাগানের সেই নতুন গোলমেশিন ড্যারেল ডাফি ফোনে শুক্রবার কথা বললেন আনন্দবাজারের সঙ্গে।তিন ম্যাচে চার গোল। এ বারের আই লিগে সোনার বুট জিততে এখনই মরিয়া। তিন বছর আগেও সেটা পেয়েছিলেন সালগাওকরে এসেই। বেঙ্গালুরুর সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে। বাগানের সেই নতুন গোলমেশিন ড্যারেল ডাফি ফোনে শুক্রবার কথা বললেন আনন্দবাজারের সঙ্গে।

Advertisement

প্রীতম সাহা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৫
Share:

প্রশ্ন: বাগানে এখন অনেক হালকা লাগছে নিশ্চয়ই?

Advertisement

ডাফি: সবে তো শুরু হল আই লিগ। এখন পুরো চার্জড-আপ থাকার সময়। আর আপনি বলছেন হালকা!

Advertisement

প্র: দু’টো ম্যাচেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন যে?

ডাফি: (হাসি) না না, ও রকম কিছু নয়। তবে একটা কথা বলতে চাই। ফুটবলে সাফল্যের জন্য সঠিক পরিবেশটা খুব জরুরি। নিজেদের লোকেরাই যদি সব সময় সমালোচনা করে, নেগেটিভ কথাবার্তা বলে, তাতে লাভ বিপক্ষ টিমেরই। ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরুদের। কেউই ধারাবাহিক ভাল খেলতে পারে না। কেরিয়ারে ওঠা-নামা থাকবেই। কিন্তু গোল করলে যেমন মাথায় তুলে নাচো, তেমনই গোল মিস করলেও পাশে দাঁড়াও। সবাইকে বুঝতে হবে কোনও ফুটবলার ইচ্ছে করে খারাপ খেলে না। গোল মিস করে না।

প্র: মোহনবাগানই কি এ বছর আপনার প্রথম পছন্দ ছিল?

ডাফি: একদম। ভারতে আমার তিন বছর হয়ে গেল। কিন্তু একটা ডুরান্ড ছাড়া আর কোনও বড় ট্রফি জিততে পারিনি। মোহনবাগানে আমি আই লিগ আর ফেড কাপ, দু’টোই জিততে এসেছি।

প্র: আপনি কি জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন?

ডাফি: কেন?

প্র: তা হলে আগে থেকে কী ভাবে বুঝলেন, মোহনবাগান এ বার ওই দু’টো ট্রফি জিতবে?

ডাফি: গত তিন-চার বছর যে ভাবে টিমটা খেলছে তাতে জ্যোতিষী লাগে না এটা বলার জন্যে। আমার মতে, দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক টিম মোহনবাগান। বেঙ্গালুরুকে মাথায় রেখেই বলছি। কোয়ালিটি প্লেয়ার তো আছেই। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল, টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ দারুণ কাজ করছেন। বিশ্বাস করি, আমার আই লিগ জেতার স্বপ্ন, মোহনবাগানই পূরণ করতে পারে।

প্র: কেন, ইস্টবেঙ্গলও তো ট্রফির অন্যতম দাবিদার?

ডাফি: ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরু, মুম্বই এফসি সবাই আমাদের প্রতিপক্ষ। ওদের সবাইকে টপকেই ট্রফি জিততে হবে। কেউ তো আর থালায় সাজিয়ে হাতে তুলে দেবে না? আমার ধারণা এদের টপকাতে পারে মোহনবাগানই।

প্র: আপনার প্রথম ডার্বি আই লিগেই। আগে কখনও কলকাতা ডার্বি দেখেছেন?

ডাফি: না। তবে ম্যাচটা খেলতে মুখিয়ে আছি। শুনেছি ওই ম্যাচে যে গোল করে, সে নাকি অমর হয়ে যায়। আমিও সে দিন গোল করে মোহনবাগানকে জেতাতে চাই।

প্র: আপনার আর সনির জুটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক জুটি বলা হচ্ছে!

ডাফি: কে কী বলছে, জানি না। তবে সনি অসাধারণ ফুটবলার। ফুটবল একজনের খেলা নয়। প্রত্যেকের আলাদা ভূমিকা থাকে টিমে। তাও একটা কথা বলব। সনি না থাকলে ট্রফি জেতা সম্ভব নয়। আমি ব্যারেটোকে খেলতে দেখিনি। শুনেছি। কিন্তু সনিকে দেখে মনে হচ্ছে মোহনবাগান ব্যারেটোর যোগ্য উত্তরসূরি পেয়ে গিয়েছে।

প্র: চার গোলের কোনটা সেরা?

ডাফি: হালকা টোকায় হোক কিংবা জোরাল ফ্রিকিক— গোল মানেই সেরা। সাত বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলছি। আলাদা করে কোনও স্পেশ্যাল গোল নেই আমার। তবে ডার্বিতে গোল করতে পারলে নিশ্চয়ই ‘স্পেশ্যাল ওয়ান’ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement