ব্রিসবেনে আগের গোলাপি বলে টেস্টে ৪৯০ রান তাড়া করে মাত্র ৩৯ রানে হার হতাশার বদলে তাদের আরও ছন্দবদ্ধ করেছে বলে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে দাবি করছে পাকিস্তান। এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমসিজি-তে নামার আগে মিসবা-উল-হকের দলের নেটেই যেন তার অভিনব ছাপ! প্র্যাকটিস টার্ফের উপর বড়মাপের একটা আয়তক্ষেত্রাকার কংক্রিট ‘স্ল্যাব’ বসিয়ে নেটে প্র্যাকটিস করেন মিসবা, আজহার আলি, ইউনিস খান থেকে গাব্বায় পঞ্চম দিন অসাধারণ সেঞ্চুরি করা আসাদ শফিক-রা। যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরোতে সাড়া পড়ে যায় ক্রিকেটমহলে। কেন এমনতর ব্যাটিং প্র্যাকটিস? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের জিম্বাবোয়ান কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার বলেছেন, ‘‘শর্ট বলের বিরুদ্ধে আরও ভাল ভাবে অনুশীলন করতে এই পন্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ জানা যাচ্ছে, টিমের দুই সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং বর্ষীয়ান ব্যাটসম্যান মিসবা এবং ইউনিস নেটে এই পন্থায় প্র্যাকটিস করছেন সবার চেয়ে বেশি। পাক কোচ বলছেন, ‘‘এমসিজির উইকেটে কাল থেকে স্টার্ক-হ্যাজলউডের ডেলিভারি যে উচ্চতায় আমাদের ব্যাটসম্যানদের দিকে আসবে, কংক্রিট স্ল্যাব পেতে সে রকম বলের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছি।’’ আরও তাৎপর্যের, ৩০-৩৫ কেজির ওই বিরাট কংক্রিট ‘স্ল্যাব’ পাকিস্তান টিমের সঙ্গেই ঘোরাঘুরি করছে। ফ্লাওয়ার মজা করে বলেছেন, ‘‘আমাদের টিম যে ফ্লাইটে চড়ে, তাদের বিমানকর্মীরা নিশ্চয়ই বিরক্ত হয় এটাকে বিমানে তোলা হয় বলে।’’ পাক কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এটাকে কে টানেন? ফ্লাওয়ারের জবাব, ‘‘ওই ব্যাপারটা আমি টিম ম্যানেজারের উপর ছেড়ে দিয়েছি।’’ আর এই নেটের ভেতরে পাতাটা? এ বারও পাক কোচের রসিকতা, ‘‘ওই নিরাপত্তারক্ষীরাই করে-টরে।’’
তবে পাক কোচ জানিয়েছেন, তাঁর টিমের অনেক ব্যাটসম্যানের কাছে নেটে ওই বিরাট কংক্রিট ‘স্ল্যাব’ পেতে অনুশীলন করাটা কুসংস্কারের মতো দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এখন দেখার মেলবোর্ন টেস্টে পাকিস্তানের খারাপ কপাল কাটে কি না! এমসিজি-তে পাকিস্তান শেষ বার জিতেছে ৩৫ বছর আগে। ১৯৮১ সালে সেই সময় পাক ক্রিকেটে ইমরান-মিয়াঁদাদ-জাহির আব্বাসদের জমানা!