সানিয়ার সামনে শোয়েবকে বিদায়ী উপহার পাকিস্তানের

শোয়েব মালিকের বিদায়ী টেস্টে তাঁকে সতীর্থদের উপহার হয়ে থাকল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ এবং সিরিজ জয়। যার সাক্ষী বৃহস্পতিবার শারজা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকলেন মিঞা মালিকের বিবি মির্জা— সানিয়া মির্জা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শারজা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২১
Share:

বিদায়বেলায় কুকের শুভেচ্ছা শোয়েবকে। ছবি: এএফপি।

শোয়েব মালিকের বিদায়ী টেস্টে তাঁকে সতীর্থদের উপহার হয়ে থাকল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ এবং সিরিজ জয়। যার সাক্ষী বৃহস্পতিবার শারজা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকলেন মিঞা মালিকের বিবি মির্জা— সানিয়া মির্জা।

Advertisement

জীবনের শেষ টেস্ট ইনিংসে শূন্য করলেও বল হাতে শোয়েব কিন্তু ম্যাচে সাত উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ১২৭ রানে তৃতীয় টেস্ট এবং ২-০-তে সিরিজ জয়ে উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখলেন। তবে এ দিনের নায়ক পাক লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। যিনি এই সিরিজে মাত্র দু’টো টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেলেন। অন্য দিকে এই সিরিজের ফলাফল আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে দু’দেশের অবস্থানও পাল্টে দিতে চলেছে। মিসবা উল-হকের পাকিস্তান দুইয়ে উঠে আসবে এবং অ্যালিস্টার কুকের ইংল্যান্ড নেমে যাচ্ছে ছয় নম্বরে।

ক্যাপ্টেন কুক-ই অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান (৬৩) করে নয় নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে ‘একা কুম্ভের প্রতিরোধে’র নিদর্শন রাখেন আজ। তার চার বল পরেই বেন স্টোকস, যিনি কাঁধের চোটে মোটা ব্যান্ডেজ বেঁধে দশ নম্বরে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন, ইয়াসিরের বলে আউট হলে, ইংল্যান্ড ইনিংস সেখানেই শেষ হয়ে যায়। ইয়াসিরকে এই টেস্টের আগে শারজার নেটে শেন ওয়ার্ন টিপস দিয়েছিলেন। যার সুফল হিসেবেই যেন এ দিন সকালের চতুর্থ বলে ইয়াসির প্রায় বোকা বানিয়ে এলবিডব্লিউ করেন জো রুটকে। যাঁকে ইংল্যান্ড মিডিয়া এই মুহূর্তে স্পিনের বিরুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের তকমা দিয়েছে। কিন্তু ইয়াসিরের যে বল ব্যাকফুটে খেলা উচিত, সেটা কিছু না-বুঝে সামনের পায়ে খেলে সম্পূর্ণ ঠকে যান রুট।

Advertisement

এ দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় একটা সময় ৫ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের পরাজয় যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৬ অল আউটে তিন পাক স্পিনার (ইয়াসির-শোয়েব-বাবর) ১০১ রানে ৯ উইকেট তোলেন। যেটা গোটা সিরিজে তিন ইংরেজ স্পিনারের (মইন-রশিদ-সমিত) প্রাপ্ত উইকেটের অর্ধেক। মধ্যপ্রাচ্যের পিচে যা দু’দেশের প্রধান পার্থক্য ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

গাব্বা দাপাল অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং: বিশ্বকাপ ফাইনালের বছর ঘোরার আগেই ফের অস্ট্রেলিয়ার হাতে হেনস্থা হতে হল নিউজিল্যান্ডকে। মেলবোর্নের কাপ ফাইনালে অস্ট্রেলীয় বোলিং ছিঁড়ে ফেলেছিল ব্রেন্ডন ম্যাকালামদের ইনিংস। এ দিন ব্রিসবেনে সেই দু’দেশেরই প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের। ৮৮ ওভারে স্টিভন স্মিথের দল তুলল প্রায় চারশো রান, তা-ও মাত্র দু’উইকেট খুইয়ে। ৩৮৯-২। ওপেনার ওয়ার্নারের বড় সেঞ্চুরির (১৬৩) পর তিন নম্বর খোয়াজা আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরি (১৩৩ বলে ১০২) করে অপরাজিত। সঙ্গী অধিনায়ক স্মিথ (৪১ ব্যাটিং)। ওপেনিং জুটিতে ওয়ার্নার-বার্নস (৭১) ওয়ান ডে-র মেজাজে ব্যাট করে ৩৯ ওভারে ১৬১ রান তুলে সেই যে দলের রানের গতি বাড়িয়েছিলেন, তার থেকে আর সারা দিনে নামেনি ব্যাগি গ্রিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন