Pakistan Hockey Anjum Saeed

বিমানের ভেতরে বসেই ধূমপান পাকিস্তানের প্রাক্তন হকি খেলোয়াড়ের! তদন্তের নির্দেশ সরকারের

তেল নিতে ব্রাজ়িলের রিয়ো দি জেনিরো বিমানবন্দরে নেমেছিল বিমান। তখন বিমানের ভেতরে বসেই ধূমপানে মত্ত ছিলেন তিনি। সেই বিমানে তাঁকে আর চড়তেই দেওয়া হল না। মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের খেলাধুলোর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:০৭
Share:

বিমানে বসে ধূমপান করে বিতর্কে পাকিস্তানের প্রাক্তন হকি খেলোয়াড়। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

তেল নিতে ব্রাজ়িলের রিয়ো দি জেনিরো বিমানবন্দরে নেমেছিল বিমান। তখন বিমানের ভেতরে বসেই ধূমপানে মত্ত ছিলেন তিনি এবং দলের এক খেলোয়াড়। সেই বিমানে তাঁদের আর চড়তেই দেওয়া হল না। অলিম্পিক্সে খেলা পাকিস্তানের প্রাক্তন খেলোয়াড় তথা এখনকার দলের ম্যানেজার অঞ্জুম সইদের কাজে মুখ পুড়েছে সে দেশের খেলাধুলোর। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

Advertisement

আর্জেন্টিনায় হকি প্রো লিগ খেলে দেশে ফিরছিল পাকিস্তান দল। ব্রাজ়িলের রিয়োয় বিমান নেমেছিল তেল ভরতে। তখনই সইদ এবং দলের এক খেলোয়াড় বিমানের ভেতরেই ধূমপান শুরু করেন, যা গুরুতর নিয়মভঙ্গ। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। তাঁদের ধূমপান বন্ধ করে বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন। সইদ সে কথা না শোনায় তর্কাতর্কি হয় ওই কর্মীদের সঙ্গে। উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। দু’জনকেই বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর চড়তে দেওয়া হয়নি। ওই দু’জনকে ছাড়াই বিমানটি দুবাই হয়ে পাকিস্তানে ফেরে।

পরে আলাদা ভাবে দেশে ফেরেন সইদ এবং ওই খেলোয়াড়। সইদ দেশে ফিরে দাবি করেন, ব্যক্তিগত কাজে দুবাইয়ে ছিলেন। তবে সরকারি আধিকারিকেরা তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ড (পিএসবি) বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। এক কর্তা জানান, পাকিস্তান হকি সংস্থাকে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক হকিতে পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে বলে দাবি করে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ওই কর্তার দাবি, পিএসবি সবই জানে। তবু পাকিস্তান হকি সংস্থার কাছে তারা জানতে চাইছে, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটতে দেওয়া হল।

Advertisement

১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিক্সে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন সই। ১৯৯৪-এ বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement