লাল-হলুদ বিশ্বকাপারের সাহসী ভবিষ্যদ্বাণী

বড় ম্যাচে বার্তোসের পাস, র‌্যান্টির গোল

বোয়া-কাতসুমিদের আটকাতে অর্ণব মণ্ডলকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। লাল-হলুদ ডিফেন্ডার নিজে জানাচ্ছেন, তিনি সত্তর শতাংশ ফিট। কিন্তু ডার্বি বলে কথা। কোনও ঝুঁকি তাই নিতে চাইছেন না আর্মান্দো কোলাসো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩৩
Share:

মহড়া। লাল-হলুদ প্র‌্যাকটিসে বার্তোস-র‌্যান্টি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

বোয়া-কাতসুমিদের আটকাতে অর্ণব মণ্ডলকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। লাল-হলুদ ডিফেন্ডার নিজে জানাচ্ছেন, তিনি সত্তর শতাংশ ফিট।

Advertisement

কিন্তু ডার্বি বলে কথা। কোনও ঝুঁকি তাই নিতে চাইছেন না আর্মান্দো কোলাসো। বদলি খুঁজতে এখন থেকেই নেমে পড়েছেন তিনি। রাজু গায়কোয়াড় আর গুরবিন্দর সিংহ-ই এ ক্ষেত্রে গোয়ান কোচের প্রথম পছন্দ। বৃহস্পতিবারের অনুশীলনে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

একটি ম্যাচ হেরে এবং ড্র করে চাপে ইস্টবেঙ্গল কোচ। রবিবারের ম্যাচকে তাই পাখির চোখ করছেন তিনি। কলকাতা লিগের লড়াইতে থাকতে হলে মোহনবাগানকে হারাতেই হবে। এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপার লিও বার্তোসের কথা তাঁকে আশ্বস্ত করতে পারে। বার্তোস এ দিন অনুশীলনের পর বলে দিয়েছেন, “নতুন দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। একটু হয়তো সময় লাগবে। র‌্যান্টির সঙ্গে আমার ভাল কম্বিনেশন তৈরি হলে দলের লাভ। চাই আমার পাসে ডার্বিতে র‌্যান্টি গোল করুক। শুনেছি এই ম্যাচে গোল করলেই নাকি নায়ক হওয়া যায়। নিজেও গোল করার চেষ্টা করব।” সঙ্গে বার্তোস যোগ করেন, “কলকাতায় খেলার ধরন অন্য রকম। বলের উপর দখল রেখে খেলতে আমি অভ্যস্ত। সেটা এখানে চলবে না। এখানে একটু ডাইরেক্ট খেলতে হয়। লং বল বেশি খেলা হয়।”

Advertisement

আর্মান্দোর প্রথম দলে বার্তোস থাকছেন। র‌্যান্টিকে সাহায্য করতে। লাল-হলুদ কোচ ডার্বিতে কাদের খেলাতে চান তা-ও যেন দেখিয়ে রাখলেন এ দিন। স্টপারে রাজুর সঙ্গে গুরবিন্দর। দুই সাইড ব্যাক রবার্ট ও দীপক মণ্ডল। মাঝমাঠে লোবো, মেহতাব, খাবরা, আব্রাঞ্চেস। ফরোয়ার্ডে র‌্যান্টি মার্টিন্সের একটু পিছন থেকে খেলবেন বার্তোস। পাসিং, শুটিং অনুশীলনের পাশাপাশি সেটপিসের উপর নজর দিলেন কোচ।

কোচের স্ট্র‌্যাটেজি শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক, মোহনবাগানের কোনও একজনকে নিয়ে ভাবতে চাইছেন না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা। বরং গোটা দলকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁবু ছাড়ার আগে রাজু বললেন, “বোয়া, কাতসুমি ভাল ফুটবলার। তবে আমরা কোনও একজন ফুটবলারকে নিয়ে ভাবছি না। জিততে হলে কাউকে ছোট করে দেখা যাবে না। আমাদের প্রস্তুতি ভালই চলছে। রক্ষণকে আরও শক্ত করতে চাই।” কলকাতা লিগে ভাল ফর্মে না থাকলেও ডার্বি জিতলে ফিরবে আত্মবিশ্বাস, এ কথাও মানছেন রাজু। বললেন, “ডার্বি মানেই আলাদা একটা উত্তেজনা। এই ম্যাচ জিতলে টিমের মনোবল বেড়ে যায়।”

কিন্তু ক্লাবের বর্তমান যা পারফরম্যান্স, তাতে কি ডার্বি জেতা সম্ভব? আর্মান্দো নিজেই বললেন, “আমরা ভাল খেলতে পারছি না ঠিকই। তবে যে দিন টিম ছন্দে থাকবে আমরাই জিতব। আশা করি রবিবারই সেটা ঘটবে। ফুটবলারদের কিছু মনস্তাত্বিক সমস্যা আছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে।” শুক্রবারই শহরে আসছেন ডুডু। ডার্বিতে তাঁকে খেলাবেন কি না তা বলেননি আর্মান্দো। “যারা আছে তাদের নিয়ে ভাবছি। ডুডু এলে দেখতে হবে কী অবস্থায় আছে।”

দু’দিন বাদে ডার্বি। মাঠের বাইরে ক্লাবের শীর্ষকর্তার গ্রেফতার নিয়ে নানা ঝামেলা চলছে। গুমোট আবহে সমর্থকরা তেমন মাঠমুখো না হলেও, এসেছিলেন প্রায় সব কর্তাই। তবে সেটা এএফসি প্রতিনিধিদের ক্লাব পরিদর্শনের কারণে। মেহতাবরা এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলবেন এ বার। সে জন্যই কাগজপত্র দেখতে এসেছিলেন এএফসি কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন