পেরুর প্রথম গোল। ছবি: এপি।
লড়াইটা ছিল সম্মানের। লড়াইটা ছিল সান্ত্বনার। আর তাতেই পেরু ফের প্রমাণ করল কেন তারা এখন বিশ্ব ফুটবলের নতুন চমক। কোপার তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে প্যারাগুয়েকে ২-০ হারাল পেরু।
হতে পারে দুই দলই ছিটকে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড় থেকে। তাতেও ম্যাচটা কোনও ফাইনালের থেকে কম ছিল না। আক্রমণের ঝড়। টানটান উত্তেজনা।
গোটা র্টুনামেন্টে সবাইকে চমকে দিয়েছে প্যারাগুয়ে। গ্রুপ অব ডেথ থেকে দ্বিতীয় হয়ে যোগ্যতা অর্জন। কোয়ার্টারে ব্রাজিলের মতো ঐতিহ্যশালী দলকে টাইব্রেকারে হারানো। তাতেও শেষ পর্যায়ে এসে হতাশাই জুটল তাদের কপালে। আর্জেন্তিনার কাছে ১-৬ বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কমাতে পারল না প্যারাগুয়ে। গোটা নব্বই মিনিট তিনটে জিনিসই চোখে পড়ল।
এক, পেরুর উন্নতি। আক্রমণ থেকে রক্ষণ এখন একটা সেট টিম পেরু।
দুই, গোলের সামনে পাওলো গেরেরোর আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা। ক্লাব ফুটবলে কেউ বেশি শোনেননি এই গেরেরোর নাম। কিন্তু কোপা আমেরিকা মানেই এক অন্য গেরেরোকে দেখা যায়। যে আরও বেশি ক্ষিপ্র ও দক্ষ। গত বার কোপার গোল্ডেন বুট জয়ী ফুটবলার এ বারও গোলের সামনে দুরন্ত ফর্মে। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধেও শেষমেশ তার গোলেই তৃতীয় স্থান পেল পেরু।
তিন, কোচের ছক। আর্জেন্তিনার রির্কাডো গ্যারেকা কোচ হওয়ার পর থেকেই পেরুর মধ্যে আত্মবিশ্বাসী মানসিকতা ঢুকেছে। রক্ষণ যেমন আঁটোসাটো, তেমনই আবার আক্রমণেও আরও বেশি ডিরেক্ট ফুটবল। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধেও প্রথমার্ধে কোনও গোল না পাওয়ার পরেও ধৈর্য্য হারায়নি পেরু। বিরতির পরে আরও লড়াকু মেজাজে নেমেছিল দল। চেষ্টা করেছিল তাড়াতাড়ি গোল পাওয়ার। কারিলোর সৌজন্যে সেই গোলটা পেয়ে গেল। আর তাতেই বাজিমাত।