ময়দানে ‘বিশুদা’র মূর্তি চান পিকে

একই মানুষকে আইএফএ ও  সিএবি-র প্রশাসক হিসেবে দেখেছে ময়দান। তাই প্রয়াত ‘বিশুদা’-র স্মরণে ময়দানে একটি মূর্তি বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কিংবদন্তি কোচ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (পিকে)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

শ্রদ্ধা: প্রয়াত বিশ্বনাথ দত্তের স্মরণসভায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুব্রত দত্ত। বুধবার সিএবি-তে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ভীষ্ম হিসেবে তাঁকে চিনত কলকাতা ময়দান। তিনি প্রশাসক থাকাকালীনই জোয়ার এসেছিল বাংলা ক্রিকেটে। কিন্তু হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কেও যে তাঁর অগাধ জ্ঞান, তা হয়তো অনেকেরই জানা ছিল না। বুধবার সিএবি-তে প্রয়াত বিশ্বনাথ দত্তের স্মরণ সভায় এমনই কিছু অজানা তথ্য জানা গেল।

Advertisement

একই মানুষকে আইএফএ ও সিএবি-র প্রশাসক হিসেবে দেখেছে ময়দান। তাই প্রয়াত ‘বিশুদা’-র স্মরণে ময়দানে একটি মূর্তি বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কিংবদন্তি কোচ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (পিকে)। ব্যক্তিগত কারণে তিনি নিজে স্মরণ সভায় আসতে না পারলেও লিখিত ভাবে নিজের এই প্রস্তাব ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আসতে পারেননি চুনী গোস্বামীও। লিখিত পত্রেই তাঁর প্রস্তাব, ‘‘ময়দানের একটি রাস্তা তাঁর নামকরণে হোক।’’

বুধবার সন্ধে ছ’টায় শুরু হয় প্রয়াত বিশ্বনাথ দত্তের স্মরণ সভা। উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত বোর্ড কর্তার পুত্র সুব্রত দত্ত। সিএবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমার বাবা (প্রয়াত চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়) ওঁর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। তখন আমার বয়স ১৭ বছর। সদ্য যুব ভারতীয় দলের হয়ে খেলে ফিরেছি। তারপর খেলার সূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের কারণে সে ভাবে তাঁর সঙ্গে কথা হত না। কিন্তু ২০০১-এ ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জেতার পরে আমার বাবার হাত দিয়ে একটি অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছিলেন।’’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘‘সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে একটি প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিলাম। ইডেনে ওঁর নামে একটি স্ট্যান্ড গড়ার প্রস্তাব। আমার কথা শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি।’’

সিএবি-র বর্তমান যুগ্ম-সচিব অভিষেক ডালমিয়ার কথায়, ‘‘প্রশাসক হিসেবে তাঁর অবদানের কথা কম বেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু তিনি যে হোমিয়োপ্যাথিও জানতেন তার একটি উদাহরণ দিতে চাই। ছোটবেলায় আমার হাম হয়েছিল। শরীরে রক্তকোষ কমে গিয়েছিল। বাবা তখন ‘দত্ত আঙ্কল’-এর সঙ্গে কথা বলে ওষুধ দিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া ওষুধেই আমি সেরে উঠি। তার পর থেকে ওঁকে ‘ডাক্তার আঙ্কল’ নামে ডাকতাম।’’

বাংলার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখার নির্দেশ দিতেন আমাকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন