মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর বার্তা দিলেন সাইরাজ

গত মরসুমে দল ভাল খেললেও ট্রফি জেতা হয়নি মনোজ তিওয়ারিদের। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না সাইরাজ। তাই শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তার উপরেও জোর দিতে মরিয়া বাংলার কোচ। পরিষ্কার করে না বললেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, মনোজদের ট্রফি খরা কাটিয়ে তুলতে প্রয়োজন হতে পারে একজন মনোবিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৪:১০
Share:

বৈঠক: বাংলা দলের অনুশীলনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় কোচ সাইরাজ। ছবি: শৌভিক দে

রঞ্জি ট্রফি জেতার স্বপ্নকে সত্যি করে তোলার প্রয়াস শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকে। ১৯৮৯-৯০ মরসুমের পরে ২৮ বছর কেটে গিয়েছে। তবুও জাতীয় ক্রিকেটের সেরা সম্মান জোটেনি বাংলার ক্রিকেটারদের। তাই আসন্ন মরসুমের তিন মাস আগে থেকেই প্রাক-মরসুম অনুশীলনে নেমে পড়লেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। আর প্রথম দিন থেকেই বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলের বার্তা, ‘‘ফিট থাকো ও জেতার মানসিকতা তৈরি করো।’’

Advertisement

গত মরসুমে দল ভাল খেললেও ট্রফি জেতা হয়নি মনোজ তিওয়ারিদের। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না সাইরাজ। তাই শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তার উপরেও জোর দিতে মরিয়া বাংলার কোচ। পরিষ্কার করে না বললেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, মনোজদের ট্রফি খরা কাটিয়ে তুলতে প্রয়োজন হতে পারে একজন মনোবিদের।

সাইরাজ বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। কার কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে সেগুলোও শুধরে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে। দেখা যাক প্রাক্তন ক্রিকেটার অথবা খেলোয়াড়দের থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায় কি না। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।’’

Advertisement

বাংলার ৩০ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। তাদের নিয়েই সল্টলেকের ভিডিয়োকন ক্রিকেট অ্যাকাডেমির জিমে ফিটনেস কোচ সঞ্জীব দাসের তত্ত্বাবধানে ক্রিকেটারদের ‘মুভমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট’ ও ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়। মরসুমের আগে দেখে নেওয়া হয় কোন ক্রিকেটার কতটা ফিট রয়েছেন। আগামী তিন সপ্তাহ ফিটনেস বাড়ানোর দিকেই নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোচ বাহুতুলে। প্রথম দিনের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২২ জন ক্রিকেটার। অধিনায়ক মনোজ যোগ দেবেন রবিবার থেকে।

ব্যায়াম শেষ হওয়ার পরে প্রথাগত ভাবে প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বাংলার কোচ। জানতে চেষ্টা করেন, কার কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে। ২০১৫-১৬ মরসুমে বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ ভাবেই দলের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করার চেষ্টা করেন সাইরাজ। তবুও গত তিনটি মরসুমের একটিতেও বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি জেতাতে পারেননি প্রাক্তন ভারতীয় লেগস্পিনার।

কোচের বিশ্বাস, এ বারই হয়তো সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাবেন সুদীপরা। সাইরাজের কথায়, ‘‘গত তিন বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, দল হিসেবে আমরা কতটা উন্নতি করেছি। শেষ বার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল‌ে দিল্লির বিরুদ্ধে একটি সেশনে ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি আমরা। ছেলেদের সেটাই বলা হচ্ছিল যে, এ ধরনের পরিস্থিতি আবারও আসবে। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার জন্য তৈরি হতে হবে।’’

২০১৮-১৯ মরসুমের প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছেন প্রয়াস রায়বর্মণ, সাত্যকী দত্ত ও শাহবাজ আহমেদের মতো তরুণ ক্রিকেটারেরা। প্রথম দিন বলেই হয়তো তাঁদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটালেন বাংলার কোচ। তাঁর ব্যাখা, ‘‘বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রথম দিন ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে সবারই ভয় করে। আমারও করেছিল। ওদের এই ভয় কাটিয়ে তোলার জন্যই বেশি করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কে বলতে পারে, আসন্ন মরসুমে ওদের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে রয়েছে কোনও উঠতি তারকা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন