অন্য রূপে রোনাল্ডো।
পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস বেশ চিন্তায় পড়েছেন। তাঁর চিন্তাটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে। অথচ যাবতীয় চিন্তা-টিন্তা পর্তুগালের বিপক্ষদের হওয়া উচিত। সিআর সেভেনকে আর কে না ভয় পায়? কিন্তু হচ্ছে উল্টো। পর্তুগাল কোচ চিন্তায় পড়েছেন স্বয়ং রোনাল্ডোকে নিয়েই! চিন্তার কারণ—ফ্রান্সে গত বছর জঙ্গি হামলা। এবং পর্তুগাল কোচের মনে হচ্ছে, টিমে সিআর সেভেন নামক একজন থাকায় পর্তুগাল টিম জঙ্গিদের নিশানা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
সময়টা ভাল যাচ্ছে না জার্মানি কোচ জোয়াকিম লোরও। স্যান্টোসের টিমে যদি একজন মেগাতারকা থেকে থাকেন, তাঁর টিমটাই সুপারস্টার। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, ফ্রান্সে আসন্ন ইউরোয় লো-র টিমকে তাজের সম্ভাব্য দাবিদার ধরা হচ্ছে। কিন্তু লো-র সে সব নিয়ে ভাবার সময় নেই। কারণ টিমের সেরা তিন প্লেয়ারের চোটজনিত সমস্যা।
চোটে বিধ্বস্ত জার্মান শিবির নিয়ে জোয়াকিম লো-র ঘোর চিন্তা।
লন্ডনে ইংল্যান্ডের কাছে ০-১ হেরে গেলে কী হবে, পর্তুগালকে নিয়ে ফুটবল-বিশ্বের আগ্রহ-উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। কারণ একটাই— রোনাল্ডো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁর মতো মহাতারকা টিমে থাকলে নানা সমস্যাও দেখা দেয়। পর্তুগাল কোচই যেমন বলছেন, ‘‘আমাদের টিমকে রোনাল্ডোর উপস্থিতির জন্য হাই রিস্ক টিম হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু আমরা তার জন্য তৈরি।’’ এমনিতেই ইউরোর কারণে ফ্রান্সে নিরাপত্তা নিয়ে হাই-অ্যালার্ট জারি হয়েছে। গত নভেম্বরে আইএস হানায় একশো তিরিশ জনের মৃত্যুর পর নিরাপত্তার এই বজ্রআঁটুনি। ‘‘বাস্তবে এটা ফরাসি সরকারের চিন্তা। ওদের নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের সমর্থকদেরও বুঝতে হবে যে, যখন-তখন আমরা প্লেয়ারদের সামনে আনতে পারব না,’’ বলে দিয়েছেন স্যান্টোস।
জার্মান কোচও টিমের তারকাদের নিয়ে টেনশনে। প্রশ্ন উঠছে বাস্তিয়ান সোয়াইস্টাইগারের অবস্থা নিয়ে। বলা হচ্ছে, ১০ জুলাই তাঁকে টিমকে টেনে ইউরো ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। গত মার্চ থেকে তো নেই সোয়াইনস্টাইগার। মারিও গটজে—বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্তিনার স্বপ্নভঙ্গের কারিগর, তাঁকেও কতটা ফিট অবস্থায় ইউরোয় পাওয়া যাবে, নিশ্চিত নয়। বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার বেশ কিছু ম্যাচ বাইরে বসে চোটের জন্য। সব শেষে, তুখোড় মিডফিল্ডার মার্কো রয়েস। বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। এ বার শারীরিক সমস্যার কারণে ইউরোতেও নেই।