গত বছর রিও অলিম্পিক্স থেকে ভারত কোনও সোনার পদক আনতে পারেনি। অথচ দুই প্রতিবন্ধী অ্যথলিট প্যরালিম্পিক্স থেকে দেশকে এনে দিয়েছেন জোড়া সোনা।
এ বছর রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন রিওয় অন্যতম সোনাজয়ী প্যারা জ্যাভলিন থ্রোয়ার দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। এর পরেও এ দেশে প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি বলে দাবি করেছেন ভারতের প্যারা সাঁতারুদের কোচ প্রশান্ত কর্মকার।
বাংলার প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের নিয়ে তিনি বেশ দুশ্চিন্তায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই রাজ্যে প্যারাগেমস মৃতপ্রায়। বাংলার প্রতিবন্ধী অ্যথলিটরা এ দেশে সবচেয়ে অবহেলিত। রাজ্যের সরকারের কোনও সাহায্য নেই। এখানে প্যারা গেমসে প্রশাসন বলেও কিছু নেই। তাই বাংলার প্যারা অ্যথলিটরা এখানে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে।’’
বাংলার প্রতিবন্ধী স্প্রিন্টার সাহেব হুসেনের উদাহরণ দিয়ে প্রশান্ত এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সাহেব একশো মিটারে জাতীয় রেকর্ড (১১.৪৪ সেকেন্ড) করেছে। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।’’ এর জন্য জাতীয় প্যারালিম্পিক্স কমিটিকেও দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘‘জাতীয় কমিটির কর্তারা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্থ ও স্বার্থপর যে, তারা খেলোয়াড়দের কথা ভাবেনই না। সে জন্যই কাঞ্চনমালা পাণ্ডের মতো সাঁতারুকে জার্মানিতে বিশ্ব প্যারা সাঁতারে যেতে হয়েছিল সরকারের আর্থিক সাহায্য ছাড়াই।’’
কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস, বিশ্ব সাঁতারের আসর থেকে পদক জিতে আসা প্রশান্ত বাংলার অবহেলায় হতাশ হয়ে ২০০৬-এ হরিয়ানায় চলে যান। সেখান থেকেই জাতীয় কোচের প্রশিক্ষণও নেন। ২০১১-য় অর্জুন ও ২০১৫-য় ধ্যানচাঁদ পুরস্কারও পান সেখান থেকেই। হরিয়ানা সরকারের ক্রীড়া বিভাগে কর্মরত প্রশান্ত অবশ্য প্যারা সাঁতারুদের অ্যাকাডেমি করতে চান এই বাংলাতেই। এখান থেকেই বাংলা ও ভিনরাজ্যের সাঁতারুদের আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে চান তিনি। বলেন, ‘‘বিদেশে পদক জয়ের জন্য হরিয়ানা সরকারের দেওয়া টাকা দিয়ে একটা জমি নিয়েছি। সেই জমিতেই অ্যাকাডেমি করব।’’