Bollywood Gossip

অক্ষয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতেন করিনা, প্রকাশ্যে তা স্বীকারও করেছিলেন, নায়কের একই ছবি ২০ বার দেখেছিলেন ‘বেবো’!

অক্ষয়ের বলিউডে পদার্পণের তিন বছর পর হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে পা রেখেছিলেন করিনা। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নায়িকা। অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩১
Share:
০১ ১৬

বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছরের। তবে, প্রেমে পড়ার সময় সেই তফাতটুকু নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করেননি অভিনেত্রী। বরং, নায়কের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন তিনি। অভিনেতা বিশেষ আমল না দিলেও করিনা কপূর খানের মন জুড়ে তখন শুধুমাত্র তিনিই ছিলেন। এমনকি, অক্ষয় খন্না সম্পর্কে প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করতেও পিছপা হননি করিনা কপূর খান।

০২ ১৬

পটৌডী রাজপরিবারের পুত্রবধূ করিনা। সইফ আলি খান এবং করিনা বর্তমানে বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’দের মধ্যে অন্যতম। তবে, করিনার মনে নাকি এক সময় জায়গা করে ফেলেছিলেন অক্ষয়। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই।

Advertisement
০৩ ১৬

১৯৯৭ সালে ‘হিমালয় পুত্র’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন অক্ষয়। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন অক্ষয়ের বাবা তথা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিনোদ খন্না। বড়পর্দায় অক্ষয়কে প্রথম বার দেখেই নাকি মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন করিনা।

০৪ ১৬

‘হিমালয় পুত্র’ যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, তখন করিনা স্কুলে পড়তেন। করিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘অক্ষয়কে দেখে তখন সব মেয়েরাই পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমিও সেই তালিকায় ছিলাম। দারুণ লাগত অক্ষয়কে।’’

০৫ ১৬

অক্ষয়ের প্রেমে করিনা এমন হাবুডুবু খাচ্ছিলেন যে, শুধুমাত্র অভিনেতাকে দেখার জন্য ‘হিমালয় পুত্র’ ছবিটি ২০ বার দেখে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও বক্সঅফিসে সিনেমাটি একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি।

০৬ ১৬

‘হিমালয় পুত্র’ মুক্তি পাওয়ার একই বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বর্ডার’ ছবিটি। সেই ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছিলেন অক্ষয়।

০৭ ১৬

অন্য দিকে অক্ষয়ের বলিউডে পদার্পণের তিন বছর পর হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে পা রেখেছিলেন করিনা। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নায়িকা। অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা।

০৮ ১৬

করিনার দাবি, তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন অনেক মেয়ের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন অক্ষয়। করিনাও সে ভাবেই দেখতেন অক্ষয়কে। বলিপাড়ায় পা রাখার চার বছরের মধ্যেই অক্ষয়ের সঙ্গে বড়পর্দায় রোম্যান্স করার সুযোগ পেয়েছিলেন করিনা।

০৯ ১৬

২০০৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হলচল’ নামে রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার একটি ছবি। ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ভাষার ‘গডফাদার’ ছবির রিমেক ছিল সেটি। এই ছবিতেই করিনা এবং অক্ষয়কে প্রথম এবং শেষ বারের মতো জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল।

১০ ১৬

‘হলচল’ মুক্তি পাওয়ার দু’বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘৩৬ চায়না টাউন’। এই ছবিতে শাহিদ কপূরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন করিনা। অক্ষয় ছিলেন তাঁর সহ-অভিনেতা।

১১ ১৬

২০০৯ সালে জ়োয়া আখতারের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘লাক বাই চান্স’। এই ছবিতে করিনা এবং অক্ষয় দু’জনেই অভিনয় করেছিলেন। তবে, দুই তারকাকেই দেখা গিয়েছিল ক্যামিয়ো চরিত্রে।

১২ ১৬

‘হলচল’ মুক্তির সময় এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছিলেন, ‘‘অক্ষয় এত ভাল অভিনেতা যে, তিনি হলিউডে যাওয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন। দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তিনি। মানুষ হিসাবেও ভীষণ ভাল।’’

১৩ ১৬

করিনা প্রকাশ্যে অক্ষয়ের প্রেমে পড়ার কথা জানালেও তা নিয়ে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেতা। বরং কাজ এবং আচরণের দিক দিয়ে করিনার সঙ্গে নিজের সাদৃশ্য রয়েছে, সে কথা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বলি নায়ক।

১৪ ১৬

করিনা প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেছিলেন, ‘‘করিনার মন খুব স্বচ্ছ। আমার মতোই কোনও রকম ভণ্ডামি পছন্দ করে না। তবে, আমার চেয়ে ও অনেক স্পষ্টবাদী। মুখের উপর স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে।’’

১৫ ১৬

চলতি মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ধুরন্ধর’। এই ছবিতে অক্ষয়ের অভিনয় দর্শকের কাছে বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। অন্য দিকে, ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিংঘম এগেইন’-এর পর করিনাকে আর বড়পর্দায় দেখা যায়নি।

১৬ ১৬

গত মাসে নেটফ্লিক্সের পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘ডাইনিং উইথ কপূরস’ নামের একটি তথ্যচিত্র। প্রয়াত অভিনেতা রাজ কপূরের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে কপূর পরিবারের সদস্যেরা খাওয়াদাওয়ার জন্য এক ছাদের তলায় উপস্থিত ছিলেন। তার উপর ভিত্তি করেই তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছিল। সেখানেই শেষ দেখা গিয়েছে করিনাকে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement