বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে আইসিসি-র চিফ এগজিকিউটিভ কমিটির সভায় অংশ নিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের যুগ্ম সচিব অমিতাভ চৌধুরী। অন্য দিকে আইসিসি বোর্ডের সভায় বিসিসিআই-এর সম্ভবত দু’জন প্রতিনিধি থাকছেন।
কিন্তু আইসিসি কি একই সভায় কোনও দেশের বোর্ডের দুই প্রতিনিধিকে একসঙ্গে থাকার অনুমতি দেবে? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেটা হতেও পারে বলে শোনা যাচ্ছে। একজন সক্রিয় ডিরেক্টর হিসেবে এবং অন্যজন শুধুমাত্র পর্যবেক্ষক হিসেবে নাকি থাকতেই পারেন। দ্বিতীয়জনের এই বৈঠকে কিছুই করার থাকবে না। তিনি শুধু পর্যবেক্ষণ করার জন্য এই বৈঠকে থাকতে পারেন। তাই বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে আইসিসি বোর্ডের সভায় ভারতের দুই প্রতিনিধিকে অংশ নেওয়ার আবেদন জানানো হবে আইসিসি-র কাছে। আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের কমিটির অন্যতম সদস্য বিক্রম লিমায়ে এই বৈঠকে সক্রিয় অংশ নাও নিতে পারেন। কারণ, তিনি আইসিসি বৈঠকের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল নন। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তিটি কে হতে চলেছেন, সেটাই প্রশ্ন। কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী, অমিতাভ ও সিইও রাহুল জোহরির মধ্যে কেউ এই সভায় সক্রিয় অংশ নিতে পারেন বলে খবর।
আইসিসি-র বোর্ড মিটিং এ বার গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১৪-য় এন শ্রীনিবাসনের আমলে আইসিসি-তে যে আমূল প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার একটি পর্যালোচনা এই সভায় পেশ করা হবে। এক বছর ধরে সমীক্ষা করে এই পর্যালোচনা করেছে আইসিসি নিযুক্ত একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। সেই প্রস্তাবের কতটা অংশ মানা উচিত, তা এই সভায় আলোচনা হওয়ার কথা। এই সভায় যদি কোনও শ্রীনিপন্থী ক্রিকেট কর্তা বিসিসিআই-এর প্রতিনিধিত্ব করেন, তা হলে পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করতে পারেন।
আইসিসি-র আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে দুবাইয়ে। ফিনান্স অ্যান্ড কমার্সিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি। কিন্তু এই কমিটিতে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব নেই। তাই এঁদের মধ্যে কাউকে এই বৈঠকে দেখা যাবে না। তাঁর পদাধিকার বলে এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে জোহরি অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু অমিতাভ চৌধুরী যেহেতু এই সভায় বিসিসিআই-এর মনোনিত ব্যক্তি। তাই তিনিই অংশ নেন। অন্যান্য বোর্ডের সিইও-রা এই সভায় মনোনিত হলেও ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের যুগ্মসচিব।